সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ পৌরসভার জলিলপুর গ্রামের সুরমা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে নৌকায় লোড করা হচ্ছে। সরকারি নিদের্শনা মতো উত্তোলিত বালি গোডাউনে আনলোডের কথা থাকলেও অবাণিজ্যিক বালু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। দিনের ১৩ ঘণ্টায় ৫ নৌকা মাটি প্রকল্পে যাওয়ার কথা থাকলেও যাচ্ছে দুই থেকে তিনটি। উত্তোলিত বালু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হবতপুরসহ শহরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেও জলিলপুর গিয়ে বালু বিক্রি ও উত্তোলনের সততা পাওয়া যায়। দেখা যায় রাতের আধারে হবতপুর ডাম্পিং স্টেশনে নৌকা থেকে বালি বিক্রি হচ্ছে। কয়েজন শ্রমিক সেখানে কাজ করছেন সড়কের উপর থেকে টর্চলাইট আলো জ্বালিয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছেন কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী।
স্থানীয় বাসিন্দা আরমান আলী বলেন, খেয়ালখুশি মতো ড্রেজার চালানোতে নদী ভাঙনের হুমকিতে জলিলপুর হবতপুর ও ব্রাহ্মণগাও গ্রামের কৃষিজমি, খেলার মাঠসহ স্থাপনা। আমরা এর প্রতিকার চাই।
আরও পড়ুন: শেরপুরে অবৈধ বালু পরিবহনের দায়ে ৯ শ্রমিকের কারাদণ্ড
জহুর মিয়া বলেন, সরকারের নামে মাটি উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রভাবশালী দলের একজন নেতা। প্রতিবাদ করলে মামলার হুমকি দেয়া হয়।
সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা ১৩ টি সারের বাফার গুদাম নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায়, বাংলাদেশ ডক ইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিয় ওয়ার্কস লিমিটেড নির্মিত হচ্ছে এখানে। জেলা বালুমহাল কমিটি, নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট রাজস্ব, ভ্যাট ট্যাক্সের বিনিময়ে ৭ লাখ ঘনফুট বালু ও বালু মিশ্রিত মাটি উত্তোলনের অনুমতি দেয়।
ড্রেজার চালক হুমায়ন কবিরর সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তারা রাতে ড্রেজার চালান না ও কোথাও মাটি বিক্রি করেন না।
আরও পড়ুন: তিনি দিনে পুলিশ, রাতে বালু লুটপাট চক্রের ‘ত্রাণকর্তা’
সার গুদাম নির্মাণের কর্মকর্তা আক্কাছুল হাবিব বলেন, মাটির কারণে গুদাম নির্মাণের কাজ ব্যহত হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, রাতে ড্রেজার চালানো সরকারি মাটি বাহিরে বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। কেউ যদি বিক্রি করে তাহলে তদন্ত করে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুই মাসের জন্য বালি উত্তোলনের অনুমতি পেয়েছ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
]]>