সুনামগঞ্জে কৃষাণ ভাস্কর্য ভাঙচুর নিয়ে ক্ষোভ আইনশৃঙ্খলা কমিটির

১ মাস আগে
সুনামগঞ্জে হাওরাঞ্চলের কৃষকের ও গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থার ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য তৈরি ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সদস্যরা এই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 


সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। এতে প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, সরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


সুনামগঞ্জের সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চালবন পয়েন্টে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছিল উপজেলা প্রশাসন। ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি এটি উন্মোচন করা হয়। তিন রাস্তার মোড়ে একজন কৃষক হাতে কাস্তে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। এটির নাম দেয়া হয়েছিল ‘কৃষাণ চত্বর’।


চলতি পথে সড়ক পথে বৃক্ষের ছায়াতলে পর্যটক ও সাধারণ মানুষ সেখানে বিশ্রাম নিতেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে একদল লোক ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলেছে। সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে ৫ কিমি দূরে তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, যাদুকাটা নদীসহ তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও সাধারণ মানুষ সেখানে বিশ্রাম নিতেন। এই ভাস্কর্যের পরে রয়েছে পলাশ বাজারের গোলচত্ত্বর, বোয়াল চত্বর, হাওর চত্বরসহ নানা ভাস্কর্য। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রশাসন এসব নির্মাণ করেছে।

 

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও কেল্লা নির্মাণে টাকা অপচয়, জড়িতদের খুঁজছে দুদক


এলাকাবাসী জানান,  শুক্রবার রাতে একদল লোক কৃষাণ চত্বরে থাকা কৃষকের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলেন। ফেসবুকে ওই ভাস্কর্য ভাঙার একটি ভিডিও দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন লোক হাতুড়ি, শাবল দিয়ে ভাস্কর্যটি ভাঙছেন।


প্রসঙ্গে সভায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘ কৃষকের ভাস্কর্য ভাঙা এটি দুঃখজনক। এ নিয়ে কারও কোনো আপত্তি, মতামত থাকলে আমরা সেখানে আরও সুন্দর কিছু করতে পারতাম।’ এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান তিনি।


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান, ‘শুধু কৃষকের ভাস্কর্য নয়, যে কোনো বিষয়েও যদি কারও কোনো মতভিন্নতা থাকে, তাহলে সেটি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে পারেন। আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সেটি নিয়ে আলোচনা করব। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিলে মানুষের মধ্যে একটা নেতিবাচক বার্তা যায়, আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন