সুখের আশায় দেশ ছেড়েছিলেন, ফিরলেন কফিনে

১ সপ্তাহে আগে
সুখের আশায় ধারদেনা করে পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর সামান্য সুখের মুখ দেখতে শুরু করেছিল তার পরিবার। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে চিরতরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা মুহিবুর খাঁ (৩০)। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের এই যুবক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় মারা যান। মৃত্যুর ১৪ দিন পর তার নিথর দেহ ফিরেছে স্বজনদের কাছে।

গত ১৫ মে মালয়েশিয়ায় কর্মস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় হঠাৎ করে গোসলে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন মুহিবুর। মৃত্যুর পর দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে তার মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। পরে স্বজনরা মরদেহ গ্রহণ করে নিজ গ্রামে নিয়ে যান। রাতেই জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।


জানা যায়, মুহিবুর খাঁ শিবপাশা গ্রামের বাইন্নে বাড়ির তাজুল খাঁর ছেলে। দেশে থাকতে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পিতা তাজুল খাঁ দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর, মা লাফু আক্তার ও একমাত্র বোনকে নিয়ে মামার বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি।


অভাব অনটনের সংসারে একটু স্বস্তি আনতে অনেক কষ্টে ঋণ করে দুই বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান মুহিবুর। সেখানকার একটি কোম্পানিতে কাজ করে দেশে ঋণের বোঝা কিছুটা কমিয়েছিলেন। স্বপ্ন ছিল সন্তান ও স্ত্রীকে ভালো জীবন দেওয়ার, মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর।


আরও পড়ুন: হজ পালন করতে গিয়ে মক্কায় বাংলাদেশির মৃত্যু


মুহিবুর খাঁর মামা তফুর আলী জানান, অভাবের সংসারে একটু আশার আলো দেখতে চেয়েছিল মহিবুর। নিজের জায়গা জমি না থাকলেও মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে, মেয়েকে ভালোভাবে মানুষ করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাশ হয়ে ফিরে এলো আমাদের মহিবুর।


তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার, মা লাফু আক্তার আর ৫ বছরের মেয়ে তাসকিয়ার চোখে এখন শুধুই কান্না। বাবাকে হারিয়ে তাসকিয়া এখনো বুঝে উঠতে পারেনি কী ঘটে গেছে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন