সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি-বিএসএফ

১ সপ্তাহে আগে
অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশের গাছ ও ফসল কেটে নষ্ট করা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা ও কিরনগঞ্জ সীমান্তে উত্তেজনার পর স্বাভাবিক হয়েছে সীমান্তের পরিস্থিতি। সর্তক অবস্থান নিয়ে টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। এমনকি সীমান্তের জিরো লাইনের আশপাশে উৎসুক জনসাধারণকে যেতে দিচ্ছেন না বিজিবি সদস্যরা।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। চৌকা ও কিরনগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে টহল কার্যক্রম। কৃষক ছাড়া কাউকেই সীমান্ত এলাকায় যেতে দিচ্ছে না বিজিবি।


স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ আলী জানান, ভারতীয় নাগরিকরা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশের গাছপালা কাটার পর অস্ত্র, ককটেল ও পাথর নিয়ে যে হামলার ঘটনা তাতে সীমান্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু রোববার সকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফের ভালো তৎপরতা ও টহল কার্যক্রম দেখা গেছে। কৃষক ছাড়া কাউকে সীমান্তে যেতে দিচ্ছে না।

আরও পড়ুন: বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: লে. কর্নেল কিবরিয়া

এনিয়ে ৫৯ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকার জনসাধারণকে নিয়ে দফায় দফায় মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে, যাতে কেউ সীমান্তের জিরো লাইন অতিক্রম না করে। পাশাপাশি কৃষক ছাড়া যেন কেউ সীমান্ত এলাকায় না যায়, সেবিষয়ে সতর্ক পাহারা দেয়া হচ্ছে।


গতকালকের ঘটনায় বিএসএফকে প্রতিবাদ জানিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে জানিয়ে বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে হওয়া কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বাধা দেয়ার পর হওয়া উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের নাগরিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশি নাগরিকের ভারতে গিয়ে গম কাটা বা ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করে গাছ কাটার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এমন ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে যেন না  হয়, সেবিষয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছি।’

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঢুকে গাছ কাটায় বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ
 
এর আগে গতকাল শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ভারতীয় নাগরিকরা জিরো লাইন পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আমগাছ কাটলে বাধা দেয় বাংলাদেশি নাগরিকরা। এমনকি বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের নাগরিকরা। এসময় ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ সদস্যরা ১০টি ককটেল, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও পাথর নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে তারা৷ এতে পাথর ও হাঁসুয়ার আঘাতে আহত হয়েছেন, শিবগঞ্জেল উপজেলার কালীগঞ্জ নামোটোলা এলাকার মেসবাহুল হক, বিশ্বনাথপুর গ্রামের মো. রনি ও মো. ফারুক। পরে বিকেলে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন