সিলেটের ৬ জনকে অপহরণের ঘটনায় শফিউল্লাহকে খুঁজছে পুলিশ

৩ সপ্তাহ আগে
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার একই গ্রামের ৬ জনকে কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ঘটনায় ‘মোহাম্মদ শফিউল্লাহ’ নামের এক অপহরণচক্রের হোতাকে খুঁজছে পুলিশ।


মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজার ছড়া বনবিট পূর্ব পাশে গহীন পাহাড় থেকে সিলেটের এই ৬ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।


টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিমেল রায় জানান, উদ্ধারের পর অপহৃতদের মধ্যে রশিদ আহমদ নামের একজন বাদি হয়ে টেকনাফ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। আর ওই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মোহাম্মদ শফিউল্লাহ নামের একজনকে। তবে মামলার এজাহারে এই শফিউল্লাহর বিস্তারিত কোনো পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।


তিনি বলেন, অপহরণকারীরা এই ৬ জনকে সাগরপথে ইন্দোনেশিয়া পাচারের জন্য গহীন পাহাড়ে আটকে রেখেছিলেন। পরে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে ছয়জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করা ছয়জনকে আদালতে পাঠানো হবে। বিজ্ঞবিচারকের সামনে ৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করবেন। এরপর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে  জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের ৬জন কাজের খোঁজে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ১৬ এপ্রিল কক্সবাজার পৌঁছার পর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু এরপর থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।


এরা হলেন- মো. লুকুছ আলীর ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), আব্দুল মান্নানের ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), সুফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ হাসান (১৯) ও মৃত ছবর আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫)। তারা সকলেই সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ঈদগাঁও বাজার এলাকার বাসিন্দা।


আরও পড়ুন: চকরিয়ায় অপহরণের ১৪ দিন পর ব্যবসায়ীকে বস্তাবন্দি জীবিত উদ্ধার


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাহাউদ্দিন অপহৃত অপর তিনজনের স্বজনদের সাথে নিযে টেকনাফ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশের একটি টিম এনিয়ে কাজ শুরু করে এদের উদ্ধার করা হয়।


পরিদর্শক হিমেল রায় জানিয়েছেন, এজাহারে থাকা মোহাম্মদ শফিউল্লাহর বিস্তারিত কিছু না থাকলেও একে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে। মূলত এই ৬ জন একজনের নাম জানেন।


কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এনিয়ে গত ১৫ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫১ জন এবং উখিয়া থেকে ৮৮ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ মুক্তিপণ দিয়ে ফিরলেও হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন