পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে পরিবারের সদস্যরা খবর পান সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জঙ্গল ঘেরা এলাকায় একটি গাছে ঝুলছে জাকারিয়ার মরদেহ। এটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১২৫৭ নম্বর মেইন পিলারের কাছে ২০ নম্বর ছাফ পিলার সংলগ্ন স্থান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোরে জাকারিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় যান এবং মরদেহ শনাক্ত করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মাত্র তিন দিন আগে (সোমবার) একই ইউনিয়নের কাকরাইল গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে জাকারিয়ার বিয়ে হয়েছিল। তবে কী কারণে তিনি সীমান্তের ওপারে গিয়েছিলেন বা মৃত্যুর পেছনে প্রকৃত কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: সীমান্তে টিকটক করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে ধরা, পতাকা বৈঠকে ফেরত
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ বলেন, সীমান্তের ওপারে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা বিজিবিকে জানিয়েছি। নিহতের পরিবার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলে পরবর্তীতে বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে মরদেহ উদ্ধারে ব্যবস্থা নেবে। যেহেতু ঘটনা ভারতের ভূখণ্ডে, তাই কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
এদিকে, সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)-এর অধিনায়ক হিসেবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নজমুল হক জানান, জাকারিয়া আত্মহত্যা করেছে নিশ্চিত করে বলা যায় না। বিএসএফ লাশ নামিয়ে বিজিবিকে হত্যান্তরের আগে তারা ময়নাতদন্ত করবে কিনা তা শুক্রবার জানা যাবে।
এদিকে বিজিবি) উৎমাছড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আরও পড়ুন: অবশেষে সীমান্ত পেরিয়ে যাওয়া সেই ৬ গরু ফেরত দিল বিএসএফ
পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, বিষয়টির দ্রুত তদন্ত এবং মরদেহটি দেশে ফিরিয়ে এনে দাফনের ব্যবস্থা করা হোক।
]]>