সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: স্বামী ননদের পর না ফেরার দেশে শারমিনও

৩ সপ্তাহ আগে
ঢাকার আশুলিয়া গোমাইল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় স্বামী ও ননদের পর মারা গেছেন শারমিন আক্তারও (৩২)।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান তিনি।

 

তার মৃত্যুর বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, শারমিনের শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানেই মারা যান।

 

এর আগে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শারমিনের স্বামী সুমন রহমান (৩৫) ও ননদ শিউলী আক্তার (৩২) মারা যারা।

 

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া গোমাইল গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই একই পরিবারের দগ্ধ ১১ জনকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন।

 

আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পুড়ল চলন্ত প্রাইভেটকার

 

হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন: শারমিনের ছেলে সোয়াইদ (৪) ও মেয়ে সুরাইয়া (৩ মাস), শাশুড়ি সূর্য বেগম (৫০), ভাসুর সোহেল (৩৮), ফুফু শাশুড়ি জহুরা বেগম (৭০), ননদ শিউলির জামাই মনির হোসেন (৪০) এবং তাদের ছেলে ছামির মাহমুদ ছাকিন (১৫) ও মাহাদী (৭)।

 

নিহত সুমনের ফুফাতো ভাই মো. মাসুদ জানান, সুমনদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। পরিবার নিয়ে গোমাইল এলাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি। বোন শিউলি থাকে নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম থাকেন মুন্সিগঞ্জে। সোহেলও থাকে গোমাইল এলাকায়। সুমন গ্রাফিক্সে কাজ করেন। আর সোহেল একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। মনির সেনেটারি ব্যবসা করেন। শবেবরাত উপলক্ষে শুক্রবার সবাই সুমনদের বাসায় যান বেড়াতে। রাতে রুটি পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালাতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন