শুক্রবার সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে দুটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পর বিদ্রোহীরা শহরটির পশ্চিম প্রান্তে সরকারি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে বলা জানিয়েছে সিরিয়ার সমর পর্যবেক্ষক ও যোদ্ধারা।
২০১৬ সালে রাশিয়া, ইরান ও তার মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সমর্থনে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো থেকে বিরোধী বাহিনীকে বিতাড়িত করার পর থেকে এই প্রথম বিরোধীরা শহরটিতে হামলা চালালো।
আলেপ্পো শহরের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলি বিনিময়ের কারণে শহরের পশ্চিম প্রান্তের আশেপাশের এলাকা ছেড়ে বাসিন্দারা পালাচ্ছেন। বিদ্রোহীদের শহরের সীমানা লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকার কোনো মন্তব্য করেনি।
সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনী শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা আলেপ্পো ও ইদলিবের আশেপাশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে এবং তাদের বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ভারী অস্ত্র ধ্বংস করেছে। তারা হামলা প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে এবং বিদ্রোহীদের তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করেছে।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া আকস্মিক আক্রমণের পর হাজার হাজার বিদ্রোহী আলেপ্পো শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং পথিমধ্যে বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম দখল করে নিয়েছে।
২০১৫ সাল থেকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে আসা ইরান-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলো নিজ দেশে নিজেদের যুদ্ধে ব্যস্ত থাকার প্রেক্ষাপটে এ আক্রমণ চালানো হলো।
যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, বিদ্রোহীরা শুক্রবার শহরের পশ্চিম প্রান্তে দুটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
একজন বিদ্রোহী কমান্ডার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা একটি রেকর্ড করা বার্তায় শহরের বাসিন্দাদের অগ্রসরমান বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার বিরোধী বিদ্রোহীরা আলেপ্পো শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রবেশ করে। এতে বলা হয়, বিদ্রোহীরা “হামদানিয়া, নিউ আলেপ্পো এবং শহরের উপকণ্ঠে জাহরা অক্ষ বরাবর সরকারি বাহিনীর প্রতিরক্ষা লাইন ভেদ করেছে”।
এতে আরও বলা হয়, বিদ্রোহীরা এখন আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশের প্রায় ৭০টি স্থান নিয়ন্ত্রণ করছে।