গত সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সময় সিরিয়ার ওপর থাকা সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি। এমনকি রিয়াদ বৈঠকে দুজনের আলোচনার পর আল-শারার প্রসংশাও করেন তিনি।
এর মধ্যেই মার্কিন সিনেটের শুনানিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন বিরোধী ডেমোক্রেটিক দলীয় সিনেটর জিন শাহিন। তিনি জানান, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: গোপন বৈঠকে ইসরাইল-সিরিয়া, মধ্যস্থতায় আরব আমিরাত!
এরপর সৌদি আরবে ট্রাম্প-শারার বৈঠকের আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিলেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। জর্ডানের বাদশাহ যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যদি শারাকে হত্যা করা হয় তাহলে সিরিয়ায় আবারও গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে। পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে অস্থিরতা।
জিন শাহিনের ভাষ্যে, ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা শারার অতীত জীবন এবং তার ইসলামপন্থি মনোভাব নিয়ে সন্দেহের ওপর ছিলেন। বিশেষ করে আল কায়েদার যোদ্ধা, হায়াত তাহরির আল শাম এইচটিএসের প্রধান, এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারেও বন্দিও ছিলেন তিনি।
যদিও সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অনেকে। ট্রাম্প ঘনিষ্ঠদের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যে সফর ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পিছনে কাজ করেছে তুরস্ক ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগ। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় সিরিয়া-ইসরাইল সংলাপও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রেফতারের জন্য ঘোষণা ছিল পুরস্কারের, তারই প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প
এখন আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া কি অবশেষে আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবেন? আব্রাহাম চুক্তি হল আরব-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরন চুক্তি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, সবাইকে নিয়ে শান্তিতে থাকতে চায় দামেস্ক।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর ও তুর্কিয়ে টুডে
]]>