বৃহস্পতিবার ( ১৬ জানুয়ারি) দামেস্কে সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল-শারার সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ মোহাম্মদ ইসরাইলের এই দখলদারিত্বের সমালোচনা করেন।
শেখ মোহাম্মদ বলেন, ‘ইসরাইলি দখলদারদের বাফার জোন দখল একটি দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ। এটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।’
আরও পড়ুন:গাজায় যুদ্ধবিরতি: ইরান ও প্রতিরোধ ফ্রন্টকে ধন্যবাদ জানাল হামাস
গোলান মালভূমির পাশে অবস্থিত এবং সিরিয়া ও ইসরাইলকে আলাদা করা বাফার জোনে গত মাসে ইসরাইল সামরিক ইউনিট মোতায়েন করে। বিদ্রোহী নেতা আল-শারার হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপের নেতৃত্বে আসাদকে পতনের পর ইসরাইলি সেনাদের মোতায়েন করা হয় সেখানে।
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এই অঞ্চলটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সামরিক নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ইসরাইলের সেনারা ওই এলাকায় ঢুকে পড়ার পর সিরিয়া জুড়ে শত শত বিমান হামলা চালায় তেল আবিব। এ বিষয়ে তারা বলেছে যে ‘চরমপন্থীদের’ হাতে অস্ত্র পৌঁছানো বন্ধ করতে এই অভিযান চালিয়েছে তারা।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে আল-শারা বলেছেন তার দেশ জাতিসংঘের বাহিনীকে বাফার জোনে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
শারা বলেন, ‘ইরানি মিলিশিয়া ও হিজবুল্লাহর উপস্থিতি এই অঞ্চলে ইসরাইলের অনুপ্রবেশের কারণ ছিল। কিন্তু দামেস্ক মুক্ত হওয়ার পর তাদের আর কোনও উপস্থিতি নেই। ইসরাইল অজুহাত দিয়ে বাফার জোনে ঢুকে পড়ছে।’
আরও পড়ুন:গাজায় যুদ্ধবিরতি: বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছ্বাস
তিনি আরও বলেন, কাতার এই বিষয়ে পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে চাপ প্রয়োগে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
]]>