সোমবার (৩০ জুন) রাত ১২টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন নাজমা বেগম (৪০) ও তার মেয়ে মোছা. আফরোজা আক্তার (১৬)। তারা দুজনেই আদমজী এলাকায় একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকতেন এবং গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া রুবেল খান জানান, টিনশেড বাসাটির নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে রান্নার সময় চুলা জ্বালাতে গিয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে মা-মেয়ে দুজনই দগ্ধ হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মা-মেয়ে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উভয়ের শরীরের ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তাদের শ্বাসনালীও দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তারা হাই ডিফেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় নকশাবহির্ভূত পাঁচ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ ও জরিমানা
তবে বিস্ফোরণের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কেউই কোনো তথ্য পাননি বলে দাবি করেছেন। সিদ্ধিরগঞ্জ ইপিজেড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মিরন মিয়া বলেন, ‘বিস্ফোরণের ঘটনায় আমাদের কাছে কোনো বার্তা আসেনি।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবুও আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি। নির্দিষ্ট ঠিকানা না পাওয়া গেলে ঘটনাস্থল শনাক্ত করা কঠিন হবে।’
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোস্তাক মাসুদ মো. ইমরান বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে আমরা ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে অনুসন্ধান চালাব।’
]]>