ইয়েমেনের হাউথিদের ওপর হামলার তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় মার্কিন রাজনীতিতে। মার্কিন সাময়িকী আটলান্টিকের সম্পাদক জেফ্রি গোল্ডবার্গ বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ বছরের সবচেয়ে বড় খবর বাজিমাতের কৃতিত্ব অর্জন করেন।
ওই প্রতিবেদনে জেফ্রি গোল্ডবার্গ জানিয়েছেন কীভাবে মার্কিন সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ভুল করে তাকে স্পর্শকাতর তথ্যে প্রবেশাধিকার দিয়েছিলেন। এ খবর প্রকাশের পর ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার রোষানলে পড়েছেন জেফ্রি।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জেফ্রি বলেছেন, এসব কিছুর শুরু হয়েছিল মুঠোফোনে একটি বিরল বার্তার চ্যাট গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর। সেই গ্রুপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডসহ মার্কিন মন্ত্রিসভার কর্মকর্তারা ইয়েমেনের সামরিক অভিযানের স্পর্শকাতর বিস্তারিত তথ্য, সময় ও লক্ষ্যবস্তু নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
আরও পড়ুন: ইফতার পার্টিতে অংশ নিয়ে মুসলিমদের যে বার্তা দিলেন ট্রাম্প
এই ঘটনা ওয়াশিংটনে আলোড়ন সৃষ্টি করার পর মাইক ওয়াল্টজ জেফ্রিকে ভুল করে ওই গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত করার দায় নেন। তিনি বলেন, অন্য একজনকে ওই গ্রুপে যুক্ত করতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি জেফ্রির সঙ্গে কখনও দেখা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার এ দাবি প্রত্যাখান করে জেফ্রি গোল্ডবার্গ বলেন, তাদের দুজনের বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। যদিও তাঁদের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন জেফ্রি। এখানেই শেষ নয় ধনকুবের ইলন মাস্ককে এ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয়ায় বিষয়টিকে হাস্যকর বলেছেন জেফ্রি।
গত সোমবার (২৪ মার্চ) আটলান্টিকে প্রকাশিত খবরে ওই গ্রুপ চ্যাটে ভুলবশত প্রবেশাধিকার পাওয়ার বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন জেফ্রি। ওই চ্যাটে ১৪ মার্চ ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্যবস্তুতে চালানো বোমা হামলার সুনির্দিষ্ট বিবরণ ছিল।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে হামলার তথ্য ফাঁস ঘটনার তদন্তের দাবি সিনেটরদের
তবে ট্রাম্প প্রশাসন জেফ্রিকে মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করেন এবং ওই অ্যাপে রাষ্ট্রীয় সংবেদনশীল তথ্য আদান-প্রদানের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেন। আর তাই দুই দিন পর সাময়িকীটি ওই গ্রুপে হওয়া সম্পূর্ণ কথোপকথন প্রকাশ করে। সেখানে অভিযানের বিস্তারিত তথ্যাদিসহ হেগসেথের বেশ কয়েকটি বার্তাও ছিল।
]]>