সিআইডির জালে আটক ভুয়া ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা

১ সপ্তাহে আগে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে কখনো অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজ শেখানো কিংবা কখনো সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেজে অভিনব উপায়ে প্রতারণা করার অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে ঢাকা লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশের সদস্যরা।

গ্রেফতার দুইজন হলেন সুকান্ত বিশ্বাস ও মানব বৈদ্য। তাদের কাছ থেকে অপরাধকার্যে ব্যবহৃত ৬টি মোবাইলফোন ও ১৪টি সিম জব্দ করা হয়।

 

সিআইডির সদ্যসরা জানান, প্রতারকচক্রটি দীর্ঘদিন সিমগুলো ব্যবহার করে প্রতারণা করতে থাকার এক পর্যায়ে সিম নম্বরগুলো বন্ধ করে সেগুলো থেকে ওটিপি গ্রহণ করে নতুন হোয়াটস অ্যাপ চালু করে ব্যবহার করে এবং সেসব অ্যাকাউন্ট থেকে পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পরিচয়ে প্রতারণাসহ লোকজনকে বিভিন্ন অনলাইন আউটসোর্সিং কাজ দেয়ার নামে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে প্রলুব্ধ করে অর্থ গ্রহণ করতো।

 

এ বিষয়ে পল্টন থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। পল্টন থানার মামলা নম্বর- ২ ধারা- সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ২৩(২)/২৪(২)/৩০(২)/৩৫(২) তৎসহ পেনালকোড এর ৪০৬/৪২০ তাং- ০৪/০৪/২০২৫ খ্রি.।

 

আরও পড়ুন: ঘরের মেঝেতে রক্ত ছিটিয়ে নিখোঁজ, পরকীয়া প্রেমিকসহ সেই গৃহবধূ ধরা

 

বাদী মামলার এজাহারে জানান যে, তিনি মোবাইলে ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝে আউটসোর্সিং কাজের জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতেন। কাজের পাশাপাশি একটু বাড়তি আয় করার জন্য অনলাইন মাধ্যমগুলোতে খোঁজ করাকালে তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পার্টটাইম একটি কাজের জন্য একটি মেসেজ দেখতে পান। বাদী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপে অ্যাড করে দিলে সেখানে আরও অনেক মেম্বার রয়েছে মর্মে দেখতে পান।

 

টেলিগ্রাম গ্রুপে কাজ শেখার জন্য ১০ হাজার টাকা ফি দেয়ার (ডিপোজিট) জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠালে প্রতারকচক্রটি বাদীকে ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলে দেয় এবং কাজের কিছু নির্দেশনা প্রদান করে।

 

আরও পড়ুন: দেবীদ্বারে কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবা আটক

 

কাজ করার পর বাদী তাদের সঙ্গে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করে আরো তথ্য নেয়ার চেষ্টা করলে তারা আর মেসেজ সিন করে না ও রিপ্লাইও দেয় না। পরে বাদী তার কিছু বন্ধু ও পরিচিতজনদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন যে, এরকম টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারে গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইনে আউট সোর্সিং কাজ করার জন্য অনেকে টাকা প্রদান করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন