পুলিশ জানিয়েছে, দুই দিন আগে খটিকের মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে প্রথমে মিসড কল আসে। পরে একই নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল এলে তিনি ফোন ধরেননি। এরপরই তার মোবাইলে পাঠানো হয় একটি ভয়েস রেকর্ডিং— যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়, ‘৫ কোটি রুপি না দিলে তিনি সোনাদানা পরার মতো অবস্থায় আর থাকবেন না’।
বিষয়টি গোপন রেখে টাকা মিটিয়ে দিতে চাপও দেয়া হয়। একই দাবি নিয়ে পরপর আরও কয়েকটি ফোন আসে। এরপর তিনি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
৫০ বছর বয়সি খটিক পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী। একসময় তিনি ঠেলাগাড়িতে সবজি বিক্রি করতেন। পরে ফলের ব্যবসায় হাত পাকিয়ে ভাগ্য বদলান। আপেল বেচাকেনা থেকেই আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে তার। অর্থ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সোনার প্রতি ঝোঁক।
আরও পড়ুন: দিল্লির ভাড়া বাসায় মিলল বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ, থাকতেন বান্ধবীর সঙ্গে
বর্তমানে তিনি প্রায় সাড়ে ৩ কেজি সোনার গয়না পরে চলাফেরা করেন— এজন্যই চিতোরগড়ে তিনি ‘গোল্ডম্যান’ নামে পরিচিত।
‘গ্যাংস্টার’ রোহিত গোদারা কে?
বিকানেরের লুনাকরন এলাকার বাসিন্দা রোহিত গোদারা বর্তমানে কানাডায় লুকিয়ে রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। দেশের বিভিন্ন থানায় ৩২টিরও বেশি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: সিন্ধু প্রদেশ আবারও ভারতের কাছে ফিরে আসতে পারে: রাজনাথ সিং
পুলিশের দেয়া তথ্যানুযায়ী, রাজস্থানে ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তোলাবাজির নেটওয়ার্ক চালাতেন গোদারা। পঞ্জাবি র্যাপার সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডেও তার নাম জড়ায়। ২০২২ সালের ১৩ জুন ভুয়ো পাসপোর্টে ‘পবন কুমার’ পরিচয়ে দিল্লি থেকে দুবাই পালান তিনি। ইন্টারপোলের রেড নোটিশও জারি হয়েছে এই গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে। সিকার জেলার কুখ্যাত গ্যাংস্টার রাজু থেহাট খুনের মামলারও প্রধান অভিযুক্ত এই গোদারা।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
২







Bengali (BD) ·
English (US) ·