সাম্য হত্যা: আসামিদের জবানবন্দির সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের মিল নেই

১ সপ্তাহে আগে
মাদকসেবীদের অস্ত্র দেখে ফেলায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আদালতে দেয়া আসামিদের জবানবন্দির সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের মিল না থাকার দাবি সাম্যর পরিবারের।

গত ১৩ মে রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের হোটেলে বন্ধুদের সঙ্গে খাবার খেতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। ফেরার পথে খুন হন ছাত্রদলের এই নেতা।


পুলিশ বলছে, সেই রাতেই গ্রেফতার ৩ জনের দু'জন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযানে আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।


মঙ্গলবার (২৭ মে) এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ডিএমপি। লিখিত বক্তব্যে কমিশনার জানান, রহস্য উদ্‌ঘাটনে শুরু থেকেই কাজ করেছে পুলিশ।

 

আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা মামলায় একজনের দায় স্বীকার, তিনজন রিমান্ডে


ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ঘটনার রাতেই তিনজনকে পুলিশ আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে। পরে আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।


এদিকে ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম জানান, উদ্যানে টেজারগান নিয়ে ঘুরছিল মাদকসেবীরা। এটি দেখে ফেলায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় সাম্যকে।


এদিকে, আদালতে দেয়া আসামিদের জবানবন্দির সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের মিল নেই বলে দাবি করেছে সাম্যর পরিবার।


সাম্যর বড় ভাই আমিরুল ইসলাম সাগর বলেন, দুজন সাম্যকে হত্যা করে। বাকিরা আশপাশে নজর রাখছিল। এগুলো পূর্বপরিকল্পিত। যদি কোনো মাদককারবারীকে আমার ভাই চিনে ফেলে, তাকে চড় থাপ্পর দেয় তাহলে দুজন মারামারি করবে। আরও ১০ জন মাদককারবারী মারামারি করার জন্য যুক্ত হবে না।


এদিকে সাম্য হত্যার ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন