ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ছেলুন জোয়ার্দ্দার। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। পরে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনেও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি হন। ২০১৪ নির্বাচনের পর তিনি মহান জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনীত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর আওয়ামী লীগ হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছে: শামিম
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাতেই মৃত দেহের চুয়াডাঙ্গায় নেয়া হবে। শনিবার চুয়াডাঙ্গা ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটিতে তার নামাজে জানাজা শেষে জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। তবে জানাজা ও দাফনের সময়সূচী এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
সোলায়মান হক জোয়ার্দার সেলুন ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।