এর আগে গত ১৮ জুন থেকে ১৪ দিনের রিমান্ডে চকরিয়া থানায় ছিলেন জাফর আলম। রিমান্ড শেষে বুধবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টায় তাকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়।
চকরিয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় চকরিয়া থানা থেকে জাফর আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় পেকুয়া থানার একটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতদিনের রিমান্ড চান। আদালত শুনানি শেষে ওই মামলায় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে চকরিয়ার ৫ টি মামলার সাথে পেকুয়ার দুটিসহ সাতটি মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেছিল আদালত। সকালে সাতদিনের রিমান্ডের জন্য জাফর আলমকে পুলিশ চকরিয়া আদালত থেকে পেকুয়া থানায় নিয়ে গেছে।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি গোলাম সরওয়ার বলেন, গত ১৮ জুন চকরিয়া থানার পাঁচ মামলায় ১৪দিন ও পেকুয়া থানার দুই মামলায় চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। চকরিয়া থানার পাঁচ মামলায় ১৪দিন রিমান্ড শেষে জাফর আলমকে বুধবার সকাল নয়টায় আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: সজল হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য বিপ্লব ৭ দিনের রিমান্ডে
এপিপি গোলাম সরওয়ার বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পেকুয়ার টৈটং ইউনিয়নের বটতলী শফিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে জাফর আলমসহ ৫০-৬০জন আসামি ধানের শীষের এজেন্টকে মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সীল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে রাখেন। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনে সে ঘটনায় মামলা রুজু হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই মামলায় জাফর আলমের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পেকুয়া থানার পূর্বের দুই মামলাসহ মোট তিন মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে জাফর আলমের। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ বহু মামলা রয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে সাতদিনের রিমান্ডের জন্য পেকুয়া থানায় আনা হয়েছে। তাঁর নিরাপত্তায় যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
]]>