সাতদিনেও উদ্ধার হননি চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী

৩ সপ্তাহ আগে
খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী ও টমটম চালকসহ ৬ জন অপহরণের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। তবে তাদের দ্রুত উদ্ধারে জন্য জন্য কাজ করছেন বলে জানালে পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

গত ১৬ এপ্রিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী ও টমটম চালক অপহরণ হওয়া বিষয় জানানোর পর থেকে খাগড়াছড়ির সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথবাহিনীর একাধিক টিম তাদের উদ্ধার অভিযানে নামেন। কিন্তু অপহরণের ৭ দিন পরও তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যে এলাকা থেকে তাদের অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে সে এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা অপহরণের বিষয়টি অবগত নয় বলে জানান, তারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো খবর পেলে তারা তা প্রশাসনকে জানাবেন।


এ নিয়ে পেরাছড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষান্তি লাল দেওয়ান জানান, অপহরণের বিষয়টি এলাকাবাসী ও তিনি নিজেই জানতেন না পরে জেনেছেন, তবে কোন এলাকা থেকে অপহরণ হয়েছেন তা জানেন না।


৫নং ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজন চাকমা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছেন ৫ জন শিক্ষার্থী অপহরণ হয়েছেন। এ নিয়ে তাকে কেউ অভিযোগ করেননি, শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছেন। আর যদি এ বিষয়ে কোনো তথ্য পান তাহলে প্রশাসনকে জানাবেন। আর টমটম চালকের বিষয়ে শুনেছেন। তবে টমটম চালকের বাড়ি কোথায় কেউ জানে না। তবে তিনি নিজে থেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন।


আইনজীবী জসিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপহরণের বিষয়টি শুধু পত্রিকা আর ফেইসবুকে দেখছি, বাস্তবতা কতটুকু তা আমরা কেউ কিছু জানি না। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান দেখে মনে হয়, হ্যাঁ এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। তবে যদি ঘটনা ঘটে থাকে তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা বাহিনী নিকট যাওয়া, আইনের আশ্রয় নেয়া উচিত। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে গেলে একটা প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে। তিনি মনে করেন, এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছেই প্রথমে যাওয়া উচিত।


আরও পড়ুন: চবির পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ


খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার (এসপি) আরেফিন জুয়েল জানান, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যখন যেখানে তথ্য পাচ্ছেন সে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তবে এখনও বলার মতো সাফল্য নেই। উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তবে অভিযানের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে।


খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একযোগে কাজ করছেন। আশা করছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে এ পরিস্থিতি থেকে আমরা উত্তরণ পাব।


এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চার সশস্ত্র সংগঠনের চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর এ পর্যন্ত সহস্রাধিক মানুষ খুন হন এবং ১৫০০ গুম হয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন