আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২৫ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্ত এলাকার পূজা মণ্ডপগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোমরা বিওপির ভোমরা পুরাতন হাটখোলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন যশোর রিজিয়ন কমান্ডার, খুলনা সেক্টর কমান্ডার এবং সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (৩৩ বিজিবি)। এ সময় তারা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি কুশলাদি বিনিময়ের পর নগদ অর্থ ও মিষ্টি উপহার প্রদান করা হয়।
সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের সদর ও কলারোয়া সীমান্ত এলাকায় ১৫টি বিওপি/ক্যাম্প এবং একটি বেইজ ক্যাম্পের আওতায় ৪৮টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পদ্মশাখরা এলাকায় ২টি, ভোমরায় ১টি, গাজীপুর এলাকায় ৬টি, ঘোনা এলাকায় ৩টি, বাঁকাল এলাকায় ৪টি, বৈকারী এলাকায় ১টি, কুশখালী এলাকায় ৩টি, তলুইগাছা এলাকায় ২টি, কাকডাঙ্গা এলাকায় ৪টি, ঝাউডাঙ্গা এলাকায় ১৫টি, মাদরা এলাকায় ১টি, হিজলদী এলাকায় ২টি ও চান্দুরিয়া এলাকায় ২টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শুল্ক ফাঁকির এক কোটি ২০ লাখ টাকার ভারতীয় ওষুধ জব্দ
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হকের সার্বিক দিকনির্দেশনায় পূজা মণ্ডপগুলোতে দিন-রাত টহল, রেকি এবং মোবাইল পেট্রোল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় পূজা উপলক্ষে সম্ভাব্য অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, নাশকতা ও দুষ্কৃতিকারীদের যেকোনো তৎপরতা রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয় করা হচ্ছে। একইসঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও আনসারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়েছে।
এছাড়া, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানের জন্য সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নে একটি মনিটরিং সেলও গঠন করা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ইতোমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশে সাজানো হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক আয়োজনের প্রস্তুতিও চলছে। বিজিবির পক্ষ থেকে আশাবাদ জানানো হয়েছে, এ বছরের শারদীয় দুর্গাপূজা সীমান্ত এলাকায় আনন্দময়, নিরাপদ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উৎসবে পরিণত হবে।
]]>