কারাবন্দী আলেম ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন Prisoners of Conscience এক্সে (পূর্বের টুইটার) পোস্টের মাধ্যমে তার মুক্তির খবর নিশ্চিত করেছে।
শাইখ আল-তালিবকে ২০১৮ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার করা হয়। সেদিন জুমার খুতবায় তিনি প্রকাশ্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার ইসলামি দায়িত্বের কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করেন। খুতবায় তিনি সৌদি আরবের জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির কার্যক্রমের সমালোচনা করেন, যেখানে কনসার্ট, মিশ্র লিঙ্গের অনুষ্ঠান ও অমুসলিম রীতিনীতির প্রসার ঘটানো হচ্ছিল।
২০২২ সালে রিয়াদের বিশেষ অপরাধ আপিল আদালত তার আগের খালাসের রায় বাতিল করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে এখন সাত বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মুক্তি পেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নবীজির প্রিয় ও পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে সিরাতের বই ‘নবীজির প্রিয় ১০০’
আন্তর্জাতিকভাবে ক্বিরাত ও হৃদয়স্পর্শী খুতবার জন্য খ্যাত শাইখ সালেহ আল-তালিব সামাজিক মাধ্যমে বিশাল অনুসারী গড়ে তুলেছিলেন। ইমামতির পাশাপাশি তিনি মক্কা, রিয়াদসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচারকের দায়িত্বও পালন করেছেন। ১৯৭৪ সালের ২৩ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া শাইখ আল-তালিব সৌদি আরবের হাওতাত বানী তামীম পরিবারের একজন, যারা ইসলামি শিক্ষা, বিচারব্যবস্থা ও কুরআন বিজ্ঞানে অবদান রাখার জন্য সুপরিচিত। এর আগে চলতি বছর আরও এক ইসলামি শিক্ষক আসআদ বিন নাসের আল-গামেদিকে দুই বছরেরও বেশি সময় আটক রাখার পর মুক্তি দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে অসংখ্য আলেম, মানবাধিকার কর্মী, রাজপরিবারের সদস্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক মহলে সৌদি আরব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
]]>