বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ৩য় দিনের মতো তাকে উদ্ধারে সাগরে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। যেখানে কাজ করছে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও লাইফগার্ড কর্মীরা।
জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার মো. মাহাবুব বলেন, নিখোঁজের ৩য় দিন সকাল থেকে জেড স্কী, স্পীড বোট ও ট্রলার নিয়ে সমুদ্রের মহেশখালী, সোনাদিয়া ও নাজিরারটেক চ্যানেলে তল্লাশি চালানো হয়। প্রায় ৫০ কিলোমিটার সমুদ্র কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে এ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আর ইনানী, হিমছড়ি, পেচারদ্বীপ, দরিয়ানগর ও কলাতলী পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সুপারভাইজার মো. ওসমান গনি বলেন, ‘এখনও কোনো হদিস মেলেনি চবির আরেক নিখোঁজ শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের। তার সন্ধানে মহেশখালীর প্যারাবন ও সোনাদিয়ী দ্বীপে পায়ে হেঁটে তল্লাশী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নিখোঁজ শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানকে না পাওয়া পর্যন্ত এ তল্লাশী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: সাগরে এখনো নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী অরিত্র, পদযাত্রায় নিরাপত্তা দাবি
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে পেচারদ্বীপ এলাকায় সাগরে গোসল করতে নামেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান (২২), আসিফ আহমেদ (২২) ও কে এম সাদমান রহমান সাবাব। ওইদিনই সকালে পেচারদ্বীপ সৈকতে ভেসে উঠলে কে এম সাদমান রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা। আর পরেরদিন বুধবার নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের নাজিরারটেক সমুদ্রসৈকতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ আহমদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অরিত্র হাসান।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার দোলন ভট্টাচার্য বলেন, এখনও নিখোঁজ রয়েছে চবির আরেক শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান। তাকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কোস্টগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় জেলেরাও কাজ করছেন।
]]>