শনিবার (১৭ মে) শারজাহ'তে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করতে সমর্থ হয় স্বাগতিক আরব আমিরাত।
১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো সূচনা পায় স্বাগতিকরা। ৩.৫ ওভারে প্রথম উইকেট হারানোর আগেই ৪০ রান তুলে ফেলে তারা। ৯ বলে ৯ রান করা মোহাম্মদ জোহাইবকে সাজঘরে ফেরান হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে আলিশান শরাফু (১) রানে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান।
তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মোহাম্মদ ওয়াসিম টাইগারদের কপালের ভাঁজ বাড়িয়েছেন আরও কিছুক্ষণ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে রাহুল শর্মার সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়ে অঘটনের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন স্বাগতিকদের। অর্ধশতকও তুলে নেন আমিরাতের অধিনায়ক।
মোহাম্মদ ওয়াসিমকে আউট করে টাইগারদের ম্যাচে ফেরান তানজিম সাকিব। আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনি।
রাহুল চোপড়া বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন। ১৪তম ওভারে তাকে আউট করে ফের টাইগারদের ত্রাতা তানজিম সাকিব। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন।
ধ্রুব পরাশর (৩) ও সঞ্চিত শর্মা (৪) দ্রুত আউট হলেও শেখ মেহেদীকে এক ওভারে ৩ ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন আসিফ খান। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। একের পর এক উইকেট হারায় তারা। একদিকে মোস্তাফিজের আঁটসাঁট বোলিংয়ে কাঙ্ক্ষিত রানরেটও তরতর করে বাড়ছিল।
আসিফও ১৯তম ওভারে আউট হয়ে যান। সেই সঙ্গে জয়ের সম্ভাবনা মিলিয়ে যায় আমিরাতের। ২১ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৪২ রান করেন আসিফ। মোহাম্মদ জুহাইব, হায়দার আলী ও মতিউল্লাহ খান রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। জাওয়াদউল্লাহ ৬ রান করেন।
হাসান মাহমুদ ৩টি, মোস্তাফিজ, শেখ মেহেদী ও তানজিম সাকিব ২টি করে উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেটটি তানভীর ইসলামের ঝুলিতে যায়।

এর আগে বাংলাদেশ পারভেজ হোসেন ইমনের ৫৪ বলে ৫ চার ও ৯ ছক্কায় খেলা ১০০ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৯১ রান সংগ্রহ করে। এদিন দেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন ইমন। তামিম ইকবালের পর এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান হন তিনি।
]]>