সাইফের ওপর হামলার নতুন মোড়!

২ সপ্তাহ আগে
নিজ বাড়িতে ছয়বার ছুরিকাঘাতের শিকার বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান এ মুহূর্তে রয়েছেন মুম্বাইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে। এ হামলার তদন্তে থাকা পুলিশ বলছে, এক কোটি টাকা দাবিই ছিল হামলাকারীর উদ্দেশ্য। তবে এ হামলায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর সংযোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে জানা যায়, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সাইফ আলি খানের ওপর জঘন্য আক্রমণের খবরে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন।

 

সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, বন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গুজরাটের জেলে বসে থাকা একজন গ্যাংস্টার, যিনি নির্ভয়ে কাজ করছে। মনে হচ্ছে তাকে রক্ষা করা হচ্ছে।

 

অরবিন্দ আরও বলেন, বিষ্ণোই গ্যাং গত বছর সালমান খানের বাসভবনে হামলা করেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিককে হত্যায় যুক্ত ছিলেন। তাই সাইফ হামলার বিষয়টি ‘গুরুতর’।

 

যদি বড় তারকাদের নিরাপত্তা না দেয়া যায় তবে মুম্বাইয়ের সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা কোথায়, এমন প্রশ্নও তোলেন অরবিন্দ। তবে শিবসেনা এবং কংগ্রেস নেতারা সাইফের ওপর হামলায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে দায়ী করেছেন।

 

এদিকে নিজ বাড়িতে হামলার শিকার সাইফের বাড়িতে তদন্তের জন্য যান এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ দয়া নায়েক। তার রিপোর্টে নব্বই দশকের গ্যাংস্টারদের গুলির উল্লেখ রয়েছে। তাই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায় সাইফ আলি খান রয়েছেন কিনা তা গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করছেন মুম্বাই পুলিশ।

 

আরও পড়ুন: সাইফকে কুপিয়েছে কে, তদন্তে বেরিয়ে এলো হামলাকারীর ছবি

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন বলছে, ২৬ বছর আগে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় বিরল প্রজাতির দুটি কৃষ্ণসার হরিণ, তিনটি চিঙ্কারা শিকার করেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান। বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী শিকারের কারণে চারটি মামলা হয় অভিনেতার বিরুদ্ধে। সে মামলায় সালমান নির্দোষ প্রমাণিত হলেও ভারতের গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ও তার দলবল সালমান খানের শত্রু হয়ে ওঠে।

 

বাঁ থেকে সালমান, সাইফ ও গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। ছবি: সংগৃহীত

 

বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের ধর্মে প্রাণি হত্যা নিষিদ্ধ। তাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া মেনে নেননি গ্যাংস্টার লরেন্স ও তার দলবল। আজও সালমান তাদের থেকে হত্যার হুমকি পেয়ে আসছেন। সালমানের কাছের মানুষ হওয়াতেই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিক খুন হন, প্রকাশ্যে এমন বিবৃতি দেন গ্যাংস্টার লরেন্স। তাদের দল আরও জানায়, সালমানের ঘনিষ্টজনের কেউই নিস্তার পাবেন না। আর সে বিষয়টিতেই জোর দিচ্ছেন তদন্ত কমিটি।

 

আরও পড়ুন: সাইফের ওপর হামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো পুলিশ

 

কেননা কৃষ্ণসার হরিণ, চিঙ্কারা শিকারের সময় সালমান খানের সঙ্গে ছিলেন সাইফ আলি খান। আরও সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী সোনালী বেন্দ্রে ও তাবু। শিকারের সময়ই শুধু নয়, এ শিকারের অভিযোগে চারটি মামলার রায়ে যখন সালমান নির্দোষ প্রমাণিত হন সেদিনও আদালতে হাজির ছিলেন সাইফ আলি খান, সোনালী বেন্দ্রে ও তাবু। তাই নিজ বাড়িতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের শিকার সাইফকে নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজনীতিবিদদেরও। এরইমধ্যে ভারত সরকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে খান পরিবারের।

 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টা নাগাদ নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন সাইফ। হামলাকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছয়বার কোপান অভিনেতাকে। হামলার শিকার সাইফকে দ্রুত ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারের পর শঙ্কামুক্ত সাইফ এ মুহূর্তে আইসিইউতে রয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন