সাঁড়াশি অভিযানেও থামছে না হত্যা-ছিনতাই, চার মাসে ঢাকায় খুন ৯৫

১ সপ্তাহে আগে
রাজধানীতে একের পর এক খুন, ডাকাতি, ছিনতাই ঘটছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের সাঁড়াশি অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না অপরাধ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য বলছে, গত চার মাসে রাজধানীতে ৯৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। আর ছিনতাই ও ডাকাতি হয়েছে ১৮৪টি। যদিও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার দাবি পুলিশের। তবে বিশ্লেষক বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি বাহিনীগুলো। এ কারণে থামছে না অপরাধ।

গত ১৮ মে মগবাজারে যুবককে কুপিয়ে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ২৪ মে পল্লবীর মেট্রো স্টেশনের নিচে একই কায়দায় ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা। পল্লবী ও দক্ষিণখানে এক দিনের ব্যবধানে ঘটে ৪টি খুনের ঘটনা।

 

এরপর গত ২৫ মে রাতে রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান সাধনকে। সামনে আসে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দ্বন্দ্ব।

 

আরও পড়ুন: রাজধানীর বাড্ডায় বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

 

সিসিটিভি ফুটেজে শুটারদের চেহারা দেখা গেলেও এক সপ্তাহ পার হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। দ্রুত রহস্য উদ্‌ঘাটনের দাবি নিহতের পরিবারের। তারা বলেন, তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

 

২৭ মে রাজধানীর মিরপুরে দিনদুপুরে ফাঁকা গুলি ছুড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীর সহকারীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয় ২২ লাখ টাকা। এ ঘটনারও কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ভুক্তভোগী বলেন, ১০-১৫ বছর ধরে সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। কোনোদিন ভাবিনি দিনদুপুরেই এভাবে টাকা লুট করে নিয়ে যাবে। দ্রুত এর বিচার করার পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।

 

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের পরও থামছে না এমন অপরাধ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি থেকে মে- এই চার মাসে ঢাকায় ৯৫টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে ছিনতাই-ডাকাতি ঘটেছে ১৮৪টি। যদিও পুলিশের দাবি, সব কিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: মিরপুরে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই

 

ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, মানুষের জীবন সংক্রান্ত যে অপরাধগুলো রয়েছে সেগুলো মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও নগরবাসীর দুশ্চিন্তার কারণ নেই।

 

বিশ্লেষক বলছেন, পুলিশের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ শুধু কাগজে-কলমেই। মাঠ পর্যায়ে নেই কার্যকরী ভূমিকা।

 

সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক  ড. তৌহিদুল হক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, অভিযান চলছে। তবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার কেউ কোনো পরিকল্পনা করছে কিনা সেই তথ্য উদ্‌ঘাটনের প্রশ্নে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। যা কাজে লাগাচ্ছে অপরাধীরা।

 

এভাবে চলতে থাকলে ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় পরিস্থিতির আরও অবনতির শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন