সহিংসতা ও সংঘর্ষের কারণে ৪০ দিন পর সবার জন্য উন্মুক্ত হলো সাজেক

৪ সপ্তাহ আগে
দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পর মঙ্গলবার (৫ই নভেম্বর) থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো খাগড়াছড়ি ও সাজেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো, বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার।  তিনি বলেন, "পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে প্রশাসন।"  পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন। সাজেক বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ ও ২০ তারিখ খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫শে সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।  তখন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ। সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে চলে গেছেন। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।  খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান দাবি করছেন, ১ মাস পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার জন মারা গিয়েছিল।  তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।
সম্পূর্ণ পড়ুন