সহিংস বিক্ষোভে অচল পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর

৫ দিন আগে
সহিংস বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়েছে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর। মুজাফফরাবাদে বন্ধ দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় অব্যাহত রয়েছে আন্দোলন। রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধার বিরোধিতা করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে শুরু হওয়া আন্দোলন পঞ্চম দিনে গড়ালেও উত্তেজনা থামেনি। স্থানীয় সময় গেল শুক্রবার মুজাফফরাবাদ শহরে দোকানপাট বন্ধ, সড়ক ফাঁকা ও পরিবহন-ব্যবস্থা স্থবির দেখা যায়। ছোট ছোট মিছিল ও পতাকা হাতে স্লোগানে মুখর হন বিক্ষোভকারীরা। সহিংসতায় কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা ও পরিবহন সেবা বন্ধ থাকায় প্রায় অচল হয়ে গেছে পুরো অঞ্চল। সরকারি টেলিভিশনের তথ্যানুসারে, বড় আকারের সংঘর্ষ এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরের দোকান মালিকরা জানান, নিরাপত্তা উদ্বেগেই ব্যবসা স্থগিত রাখা হয়েছে।

 

খাদ্য, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সেবায় ভর্তুকির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হলেও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া মানবাধিকার জোটের নেতা বলেন, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সুবিধাই আন্দোলনের মূল ইস্যু। পাশাপাশি, পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পাঠানো প্রতিনিধিদের জন্য কাশ্মীর আইনসভায় বরাদ্দ আসন বাতিলের দাবিও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের অভিযোগ, এসব আসন ব্যবহার করে বারবার স্থানীয় সরকার গঠন বা ভেঙে দেয়া হয়। 

 

আরও পড়ুন: আজাদ কাশ্মীরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সংঘর্ষ, নিহত ৯

 

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ‘আমরা কারও বিরুদ্ধে না। কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও না। আমাদের দাবি পাকিস্তানের নিপীড়িত জনগণেরও দাবি। সময় এলে পাকিস্তানের দরিদ্র ও নিপীড়িত মানুষ কাশ্মীরিদের মতো এক কণ্ঠে বলে উঠবে এবং এই দুর্নীতিগ্রস্তরা সংসদ থেকে দূর হয়ে যাবে।’

 

এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নির্দেশে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি বৃহস্পতিবার কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। 

 

কমিটির প্রধান ফয়সাল জামিল কাশ্মীরি জানিয়েছেন, আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে বলে তিনি আশাবাদী। এর আগে গত বছরও একই ধরনের বিক্ষোভে কয়েকজন নিহত হওয়ার পর সরকার ২৪০০ কোটি রুপি অনুদান দেয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন