এসময় উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ঝাড়ুয়া পাড়া গ্রামে মহানন্দা নদীর ভাঙন এলাকায় গিয়ে ফেসবুকে লাইভে যুক্ত হন সারজিস। এসময় তিনি বলেন, ভারত প্রতিবেশি সুলভ আচরণ না করায় বাংলাদেশের মানুষের মনে এন্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট তৈরি হচ্ছে।
লাইভে সারজিসকে বলতে শোনা যায়, একটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়ে একটু কথা বলবো। সর্ব উত্তরের উপজেলা, সর্ব উত্তরের ইউনিয়ন এবং সর্ব উত্তরের ওয়ার্ডে। বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন গ্রামের মহানন্দা নদী। মহানন্দা নদীর ভারতের ওপাড়ে যে স্লুইচ গেট রয়েছে একসাথে ৯ টি গেট খুলে দিয়েছে। তারা আসলে এটিই করে। নদীগুলো আন্তর্জাতিক নদী হলেও তারা যখন মন চায় খুলে দেয়, যখন মন চায় বন্ধ রাখে। ভারতের প্রতিবেশি সুলভ আচরণ না থাকার কারণে বাংলাদেশের মানুষের মনে এন্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট তৈরি হয়েছে।
সারজিস আরো বলেন, মানুষ জন্ম থেকে এই সেন্টিমেন্ট নিয়ে বড় হয় না। ভারতের এই কাজ কর্ম, প্রতিবেশি রাষ্ট্রের কথা চিন্তা না করা এমনটি করতে করতে এই সেন্টিমেন্ট মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে। এই দিকের মানুষের কথা চিন্তা না করে তারা ৯ টি গেট খুলে দিয়েছে। ব্যাপক স্রোতে পানি আসছে। নদীর পাড়গুলো ভাঙা শুরু করে দিয়েছে। পাশের গ্রামের মানুষরা শঙ্কিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ এখন তারা নদীর পাড়ে এসেছে। এখানে হালকা করে একটি বাঁধ দেয়া ছিলো। এই বাঁধ নির্মাণেও সমস্যা হয়েছিল তখন।
আরও পড়ুন: উচ্চকক্ষে পিআর প্রাসঙ্গিক, তবে নিম্নকক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি: সারজিস
তিনি আরও বলেন, দ্রুতগতিতে এটার একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। আইনগতভাবেও কিছু বিষয় আছে। আমরা পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি। তারা যেহেতু প্রতিবেশি সুলভ আচরণ করে না। যখন মন চায় খুলে দেয় যখন মন চায় বন্ধ করে দেয়। তাহলে আমাদের সাইডেও এরকম স্থায়ী একটি ব্যবস্থা লাগবে। কারণ আমরা আর আমাদের ভূমি হারাতে চাই না। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রশাসন ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এটার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। না হলে হাজার হাজার মানুষের যে গ্রাম ও মানুষের জীবন জীবিকা বিপন্ন হওয়ার দিকে যাবে।
আরও পড়ুন: শাপলা পাওয়ার সঙ্গে নির্বাচন আগানো-পেছানোর কোনো সুযোগ নেই: সারজিস
এর আগে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, নদীর পানি ও স্রোত বেশি থাকায় ভাঙন রোধে প্রাথমিক ভাবে জিও ব্যাগ ফেলানো হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে। পরে নদীর পানি ও স্রোত কমে গেলে স্থায়ী ভাবে পাড় রোক্ষা বাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
]]>