সরবরাহ বাড়ায় মেহেরপুরে শীতকালীন সবজির দাম নেমেছে অর্ধেকে

১ সপ্তাহে আগে
মেহেরপুরের বাজারে বাড়তে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এতে দাম নেমেছে অর্ধেকে। তবে দামে এই নিম্নমুখী প্রবণতায় শঙ্কিত চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজার স্থিতিশীল না হলে লাভের মুখ দেখা যাবে না।

মেহেরপুর বড়বাজার সংলগ্ন কাঁচাবাজার আড়ত। সকাল থেকেই অন্যান্য সবজির পাশাপাশি শীতকালীন নানা সবজি নিয়ে এই আড়তে আসেন কৃষকরা। প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার কাঁচামাল আমদানি ও বিক্রি হয় এই আড়তে।

 

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি, পাতাকপি, শিম, বরবটি, মুলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি গত কয়েকদিনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে বাজারে এসেছে। এতে কমতে শুরু করেছে দামও।

 

 

গত সপ্তাহে পালং শাক কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় নেমে এসেছে। শিম ১০০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা, ফুলকপি ৯০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুলা ১০-১৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৫-২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২০-২৫ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০-৩৫ টাকা, ওলকপি এবং বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা শেষে খুলনার বাজারে উঠেছে ইলিশ, দাম কেমন?

 

অন্যদিকে আলু, কচু, লাল শাক সহ অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মশলা জাতীয় ফসল যেমন কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, আদাও বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।

 

তবে শীতকালীন সবজির এই দাম নিম্নমুখী হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, চলতি মৌসুমে সার ও বালাই নাশকের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। এছাড়া আবহাওয়াজনিত কারণে ফসলের উৎপাদন কম হওয়ায় দাম না পেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

 

অপরদিকে বাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে ব্যবসায়ীরাও লাভ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। কমিশন ব্যাবসার পাশাপাশি কাঁচামাল রেখে পরেরদিন বিক্রি করতে পারছেন না বলে জানাচ্ছেন আড়ত মালিকরা। তবে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতকালীন সবজির আমদানি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন