সরবরাহ বাড়লেও হবিগঞ্জে কমেনি সবজির দাম, বিপাকে ভোক্তা

৪ সপ্তাহ আগে
সরবরাহ বাড়লেও হবিগঞ্জের বাজার এখনও বেশ চড়া। বাজারে শীতের নানা প্রকারের সবজি আসলেও দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। অসময়ে বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ কম এবং দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হবিগঞ্জের কোট স্টেশন এলাকার চাষি বাজার থেকে সবজি ক্রয় করে জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ভোর থেকেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত তাজা সবজি নিয়ে আসেন এ বাজারে। নিরাপদ সবজি কিনতে সকাল থেকে খুচরা ক্রেতারাও আসেন এখানে।

 

তবে শীতের সবজির মৌসুমে বাজারে দাম অনেকটাই আকাশছোঁয়া। প্রতিপিস ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, প্রতিকেজি শিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, আলু ৮০ থেকে ৯০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও লাউ প্রতি পিছ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকায়।

 

আরও পড়ুন: ৭ নিত্যপণ্যে শুল্ক ছাড়, বাজারে প্রভাব কতটুকু?

 

এতে সবজি কিনতে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। তারা বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে। বাজার ভরপুর শীতের সবজিতে। তবুও দাম নাগালের বাইরে।

 

বাজার করতে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রবিউল আলম জানান, এমনিতেই দ্রব্যমূল্য বেশি, তার ওপর সবজির দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। এভাবে চলতে থাকলে সবজি খাওয়া বাদ দিয়ে দিতে হবে।

 

দাম বেশি থাকায় বিক্রিও কম হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। চাষি বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি সফিক মিয়া জানান, অসময়ে কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই অর্ধেকে নেমে যাবে।

 

উল্লেখ্য, অন্যান্য বাজারের তুলনায় এ বাজারে বিষমুক্ত সবজির সরবরাহ বেশি। জেলার প্রান্তিক কৃষকরা এ বাজারে সবজি বিক্রি করেন। ভোর ৫টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। হবিগঞ্জ চাষি বাজারে প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার সবজি বেচাকেনা হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন