সরবরাহ কমায় ফেনীতে চড়া দেশি মাছের দাম

১ সপ্তাহে আগে
ফেনী পৌর মৎস্য আড়তে দেশীয় মাছের সরবরাহ কমেছে। এতে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।

ফেনী বাজারের পৌর মৎস্য আড়ত। প্রতিদিন কয়েক টন মাছ নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা আসেন এই আড়তে। তবে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির কারণে দেশীয় উৎস থেকে মাছ ধরা পড়েছে কম।

 

এতে আড়তে কমেছে সরবরাহ। দেশীয় জাতের অধিকাংশ মাছের দাম বেশ চড়া। মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এতে নাখোশ ক্রেতারা। তারা বলেন, বাজারে সামুদ্রিক মাছের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে দেশি মাছের বাজার বেশ চড়া।

 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি রুই ২৭০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পাবদা ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা ও চাষের শিং ১৮০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৮০০ গ্রাম ওজনের এক কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ১ কেজি ওজনের বেশি ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা।

 

আরও পড়ুন: সরবরাহ বাড়ায় পটুয়াখালীতে কমেছে মাছের দাম, তবে এখনও অপেক্ষা ইলিশের

 

এছাড়া  প্রতি কেজি হরিণা চিংড়ি ৫৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, লইট্টা ৮০ টাকা ৯০ টাকা, ছুরি ২০০ টাকা ২২০ টাকা ও সুরমা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায়।

 

এদিকে, হরিনা ও বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি সামুদ্রিক সব ধরনের মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। তারা বলেন, বৃষ্টির কারণে জেলেরা ঠিক মতো মাছ ধরতে না পারায় সরবরাহ কমেছে। এতে দাম কিছুটা বেড়েছে দেশী মাছের।

 

জেলার সবচেয়ে বড় এই মাছের আড়তে আড়ত সংখ্যা রয়েছে ৪৫টি। প্রতিদিন গড়ে এখানে বিক্রি হয় প্রায় দেড় থেকে ২ কোটি টাকার মাছ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন