বুধবার (৬ আগস্ট) কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে বক্তব্য দেন তিনি।
লাইভে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সারজিস বলেন, এনসিপির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মানুষের সামনে ২৪ দফার একটি ইশতেহার দেয়া হয়েছে। এর ২১ নম্বর দফায় জলবায়ু সহিষ্ণুতা, নদী ও সমুদ্র রক্ষার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা আমাদের স্থলভাগের প্রায় সমান। এটি এক অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো, কীভাবে আমরা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ব্লু ইকোনমি গড়ে তুলতে পারি। কীভাবে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে পারি, কিংবা তীরবর্তী মানুষের জন্য টেকসই জীবনধারণ নিশ্চিত করতে পারি।’
সারজিস বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রের পানির স্তর বাড়ছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী ভূমি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই আগাম পূর্বাভাস, পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখন অত্যন্ত জরুরি। সরকারেরও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার ভ্রমণ /হাসনাত, সারজিস ও জারাসহ ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সমুদ্রকে সম্পদে পরিণত করতে। খনিজ সম্পদ আহরণ হোক, কিন্তু তা যেন হয় পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উপায়ে। আমাদের দরকার টেকসই নদী ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা।’
কক্সবাজারের বাস্তবতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখন যেখানে-সেখানে ভবন গড়ে উঠছে। কোনো পরিকল্পনা নেই, জমি দখল চলছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে অবৈধভাবে লিজ নেয়া হচ্ছে, সৈকতের পাড়ে নির্মাণ হচ্ছে প্রাচীর।’
ভিডিওবার্তায় পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া টেকসই সমাধান সম্ভব নয়।’