বুধবার (২৩ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতাররা হলেন- বগুড়া সদর থানার মৃত খলিল শেখের ছেলে নয়ন (২১) ও সারিয়াকান্দি উপজেলার মানিকদারচর (টেংরাকুরা) গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে আল আমিন (১৯)।
তারা গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার কুনিয়া মোতালেব মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সনজিৎ বিশ্বাস জানান, নিহত রফিকুল ইসলাম আসামিদের সঙ্গে সমকামীতার কথা বলে পাঁচ হাজার টাকায় চুক্তি করে বাসায় ডাকেন। কিন্তু পরে তিনি টাকা না দিয়ে গোপনে ধারণ করা ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা তাকে গলা ও উরুতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন স্থানীয় কড্ডা ব্রিজের কাছে ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অস্ত্রের মুখে স্কুলছাত্রকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ
নিহত রফিকুল ইসলাম টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গাজীপুর ফিড মিল লিমিটেড-এ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকার মাসুদের মালিকানাধীন একটি পাঁচতলা ভবনের চারতলায় পরিবারসহ প্রায় ৬/৭ বছর ধরে বসবাস করছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চুরির অপবাদে গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
রোববার (২০ জুলাই) সকালে নিহতের ছেলে রাতুল আহামেদ মোবাইলে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাসায় তার দুই বন্ধুকে পাঠান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা গিয়ে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটটি দেখতে পান। পরে বাড়ির মালিকের সহযোগিতায় তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রফিকুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। পরে রাতুল আহামেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কোনাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই গাজীপুর।
পিবিআই’র এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রেফতার নয়ন ও আল আমিন আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি বলেন, এটি একটি নৃশংস ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিতে আমরা তৎপর।