সোমবার (১৮ আগস্ট) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে খোলা চিঠি দেন আরশ। জানান তার বেড়ে ওঠা, শিক্ষাজীবন সম্পর্কে। চিঠিতে অভিনেতা তিরস্কার করেন দেশের নানা সমস্যা, রাজনীতি এমনকি জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী বর্তমান পরিস্থিতিকে।
সময়ের পাঠকের জন্য অভিনেতা আরশ খানের সে ফেসবুক পোস্ট তুলে ধরা হলো-
১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারীর ২ তারিখ আমার জন্ম। যদিও স্কুল জীবনে ক্লাস টিচার বানায় দিলেন ১৯৯৬ যেনো সরকারি চাকরি পাইতে সুবিধা হয়। ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বুদ্ধি হবার পর শিখতে শুরু করলাম সম্পর্ক কি!
কে মা, কে বাবা, কে চাচা, কে খালা ইত্যাদি। আল্লাহ কে, নবী কী, ইসলাম কী শিখতে শুরু করলাম। আমার ধর্ম ছাড়াও কী কী ধর্ম আছে তা জানলাম। ১৯৯৮ স্কুলে ভর্তি হলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ বছরে স্কুল জীবন পুরোটাই কাটলো। এর মাঝে আবারও খালেদা জিয়া আসলেন। ফজলুল হক, ফখরুদ্দিন আহমদ আসলেন, আবার শেখ হাসিনা। এর মাঝে চললো আমার কলেজ, ইউনিভার্সিটি।
আমার ২৩ বছরের শিক্ষা জীবনে তার মানে আমি সব কিছুই ভুল শিখেছি। বিশেষ করে ইতিহাস। কারন আমার দেশে সরকারের সাথে সাথে বদলায় বই, বদলায় ইতিহাস, বদলায় শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম ব্যবস্থা। বদলায় প্রশাসন প্রধান, বদলায় সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং তাদের কাজের ধরন। আমার এক জীবনে এক দেশে এক শিক্ষা ব্যবস্থার আওতাধীনে থেকেও সব বদলায় এবং বদলাতেই থাকে।
এই গল্পতো আমার একার না। আমার দেশের সকল মানুষের জীবন ব্যবস্থা এই। তাহলে আমার ইতিহাস না জানার পেছনে উপরে উঠে আসা সকল ব্যক্তিরাই দায়ী , দায়ী শিক্ষা বোর্ড , দায়ী আমার স্কুল ,কলেজ, ইউনিভার্সিটি।
এই দেশে স্থানের নাম পরিবর্তন করতে করতে আপনারা হাজার কোটি টাকা খরচ করে ফেলেন, হাজার কোটি টাকা যায় বিদেশে, আর বাকি যা থাকে তার সাথেও হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে করেন দেশের উন্নতি। যখন যে ক্ষমতায় সে দুধে ধোয়া , যে ক্ষমতায় নাই সেই খারাপ।
আরও পড়ুন: হিমির ‘কুরুচিপূর্ণ’ ফটো কার্ড শেয়ার, লেজার ভিশনের দুঃখপ্রকাশ
গত বছর এই সময়ে আমাকে এক দলের কর্মীরা প্রচুর উত্যক্ত করেছে অনলাইনে , আবার এই বছর জুতা দিয়ে বরণ করলেন আরেক দল। সম্পর্ক বদলে গেলো একটি পলকে!
আরও পড়ুন: মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী গ্রেফতার
আমার অনুজদের প্রতি একটাই উপদেশ, তোমরা সুযোগ পেলেই বিদেশে চলে যেও, নিজের মতন জীবন গড়ে নিও। এই দেশে আমজনতা হওয়ার থেকে বড় গুনাহ আর কিছু নাই।
তোমাদের ভাই
কালচারাল ফ্যাসিস্ট আরশ খান