তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র কোনও বিশেষ সমাজের বা বিশেষ কোনও গোষ্ঠীর কিংবা বিশেষ কোনও অংশের প্রতিনিধিত্ব নয়, এমন ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে-তা যেন প্রকৃতপক্ষেই জাতীয় হয়ে ওঠে।’
সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকায় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
এ সময় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সংস্কার বিষয়ে কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কমিশন থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণের মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া সর্বস্তরের মানুষের মতামত নিশ্চিত করতে একটা জরিপ শুরু করার বিবেচনা করা হচ্ছে। শিগগিরই আপনাদের সুনির্দিষ্টভাবে এ ব্যাপারে জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: যত দ্রুত সম্ভব আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে চাই: আলী রীয়াজ
ঈদের ছুটির পর সোমবার থেকে আবারও সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে।
এর আগে সকালে সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কিত গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের শরিক দলের হয়ে নিজেদের মতামত জমা দেয় বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম. এল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি এবং সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত গত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২৯টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে এবং এ প্রেক্ষিতে ৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ৩টায় নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।