সমতল, পাহাড় কিংবা সাগর, প্রায় একই চিত্র সব খানে। সরকারি ছুটি বা উৎসবে পর্যটকের ভারে ঠাসা থাকে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
তথ্য বলছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, বান্দরবান, লামা, সাজেকে ছুটে যান সব চেয়ে বেশি পর্যটক। বাঁধনহারা এই পর্যটকদের আতিথেয়তায় গড়ে উঠছে হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্সসহ নানা স্থাপনা।
এতে আর্থ সামাজিক উন্নতি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মারাত্মকভাবে ক্ষতি করছে স্থানীয় পরিবেশ ও অবকাঠামোর। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে স্বাভাবিক বসবাস। এমন অবস্থায় স্থানীয়দের সমন্বয়ে স্পট অনুযায়ী পর্যটকের সংখ্যা নির্দিষ্ট করার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢল: ডুবে যাচ্ছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু!
টোয়াবের সাবেত সহ-সভাপতি তৌফিক রহমান বলেন, কম করে হলেও সেন্ট মার্টিনে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষ যায়। রাঙামাটি, বান্দরবন, চিটাগাং হিলটেক্সেও কিন্তু এই ঘটনাগুলো হচ্ছে। পাঁচটা প্ল্যানের মধ্যে একটি প্ল্যানই কিন্তু আছে ক্যারিং ক্যাপাসিটি। এক্ষেত্রে দুটি পুলিসি হতে পারে একটি হতে পারে সেন্টার পর্যায়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড করতে পারে অথবা মিনিস্ট্রি অব সিভিলাইজেশন ট্যুরিজম বোর্ড করতে পারে। আরেকটা হতে পারে লোকাল তথা ডিস্ট্রিক্ট পর্যায়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোয়েব উর-রহমান বলেন, কিছুটা কন্ট্রোল ট্যুরিজম স্টাবলিশ করা। এভাবে ম্যানেজ করা যায়। তবে এজন্য কনসালটেশন দরকার। লোকাল কমিউনিটির কী স্টেকহোল্ডার যারা আছে তাদের নিয়ে একসাথে কথা বলে তারপরই ম্যাকানিজম বের করতে হবে।
ট্যুর অপারেটররা বলছেন, অতিরিক্ত পর্যটক সমাগম নিয়ন্ত্রণ করার আগে তৈরি করতে হবে বিকল্প ট্যুরিস্ট জোন।
আটাবের সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, নতুন কোনো ডেস্টিনেশন না করার আগে আমরা পুরোনো কোনো জায়গাটাকে বেরিয়ে দিতে পারব না। সেটা ঠিকও হবে না। তাইলে মানুষ যাবে কোথায়?
আরও পড়ুন: পর্যটন মৌসুমের আগেই সেন্টমার্টিনে নির্মিত হচ্ছে নতুন জেটি
তবে টেকসই ট্যুরিস্ট জোন গড়ে তুলতে সব স্পটেই পর্যটকদের যাতায়াত নিদিষ্ট করতে চায় বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের বলেন, আমরা নিজেরাও চাই যে, পর্যটন যদি আমরা টিকিয়ে রাখতে চাই, তাইলে আমাদের ক্যারিং ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হবে। আমরা রিকোয়েস্ট করছি যে, যেসব জায়গায় বেশি ট্যুরিস্ট যায়, সেসব জায়গাতেই ক্যারিং ক্যাপাসিটি আগেই নির্ধারণ করা দরকার।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে অভ্যন্তরিণ পর্যটকের সংখ্যা ছিল এক কোটি। তিন বছরের ব্যবধানে বেড়ে হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি। বিশ্বের বিভিন্ন রুটে ভিসা জটিলতায় বাড়ছে অভ্যন্তারিণ চলাচল।
]]>