ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে, সন্তান দত্তক নেয়া জায়েজ আছে। ছেলে মেয়ে আল্লাহর বিশেষ এক নেয়ামত। তিনি যাকে ইচ্ছে দান করেন। যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা রাখেন। মহান আল্লাহ বলেন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহরই। তিনি যা চান সৃষ্টি করেন। যাকে চান কন্যা দেন এবং যাকে চান পুত্র দেন। অথবা পুত্র ও কন্যা উভয় মিলিয়ে দেন। আবার যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান। (সুরা শুরা: ৪৯-৫০)
আরও পড়ুন: মোহরের সর্বোচ্চ পরিমাণ কত টাকা?
সুতরাং যাকে মহান আল্লাহ ছেলে-মেয়ে দান করেনি তার জন্য দত্তক নেয়া জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা রয়েছে। দত্তক বাচ্চা আসল বাচ্চার মতো নয়। কারণ উভয়ের জন্য অনেক ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান ভিন্ন।
এজন্য শর্ত হলো, দত্তক সন্তানের আসল পিতা-মাতার দিকে তার বংশ সম্পর্ক বহাল রাখা। তার জন্ম সনদ, পরিচয় পত্র, ভোটার আইডি, শিক্ষা সনদ, বিবাহ নামা ইত্যাদিতে তার আসল মা-বাবার দিকে সম্পর্ক উল্লেখ করাও আবশ্যক।
যদি দত্তক লালনকারী মা-বাবার সাথে দত্তকের মাহরামের (যাদের সঙ্গে দেখা দেয়া জায়েজ) সম্পর্ক না থাকে, তথা বাচ্চা থাকাকালীন নির্দিষ্ট সময়ে দুধ পান না করিয়ে থাকে, তাহলে দত্তক প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার সাথে উক্ত মা-বাবার পর্দা করা ফরজ।
শুধু লালন-পালনের মাধ্যমে পর্দার বিধান বাতিল হবে না। অবশ্যই যদি দত্তক লালনকারী হোক সে নিজে অথবা তার বোন বা মেয়ে ইত্যাদি তাকে দুধপানের নির্দিষ্ট সময়ে দুধ পান করিয়ে থাকে, তাহলে তাদের সাথে পর্দার বিধান রহিত হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার ৩ আমল
মানুষের মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পদ শরয়ী নিয়ম-কানুনের ভিত্তিতে তার মূল উত্তরাধিকারদের মাঝে বণ্টন হয়। দত্তকের এতে কোন অংশ থাকবেনা। অবশ্যই লালনপালনকারী মাতা-পিতা চাইলে তার জন্য এক তৃতীয়াংশ সম্পদ অসিয়ত করতে পারে। অথবা জীবিত অবস্থায় কিছু দিতে চাইলেও পারবে। (সুরা আহযাব ৪-৫, ফতোয়ায়ে শামি ৩-২১৩)