দেশে অপরিকল্পিত গর্ভধারণ, প্রসব-পূর্ববর্তী চারবার সেবা না নেয়া, অদক্ষ ধাত্রীর হাতে প্রসব এবং অল্পবয়সে গর্ভধারণের ফলে এখনও মাতৃমৃত্যুর হার আশানুরূপ কমছে না এবং ৫৪ শতাংশ মাতৃমৃত্যু হচ্ছে বাড়িতে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসব-পূর্ব চারবার সেবা পান না ৬১ শতাংশ গর্ভবতী। এ ক্ষেত্রে শহরাঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে আছেন গ্রামের গর্ভবতীরা।
গবেষণা বলছে, প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ। আর চিকিৎসকরা বলছেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে, গর্ভকালীনসহ সন্তান প্রসবের পুরো প্রক্রিয়ায় এখনও ডাক্তারের কাছে যেতে অনীহা অধিকাংশ পরিবারের। এ ছাড়া বাড়িতে সন্তান প্রসবের প্রবণতা এখনও বন্ধ হয়নি বলে উল্লেখযোগ্য হারে মাতৃমৃত্যু কমানো যায়নি।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন গর্ভবতী নারীকে গর্ভাবস্থায় অন্তত চারবার গর্ভকালীন সেবা নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রসূতির শারীরিক পরীক্ষা, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান, চিকিৎসাসেবা প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ মায়েদের চিহ্নিত করে সেবা দেয়া। প্রসূতি ও তার পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যৎ প্রসবের প্রকৃতি, সময় ও স্থান নির্ধারণে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান।
আরও পড়ুন: মা হওয়ার আদর্শ বয়স কত?
ইউনিসেফ ও ডব্লিউএইচওর পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রতিদিন ১০ জন মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, সন্তান প্রসবের সময় যে কারণগুলোতে মায়ের মৃত্যু হয় তার অধিকাংশই প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণের কারণে।
মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. শাহিদা আক্তার বলেন, পুষ্টিটা নিশ্চিত করা। গর্ভবতী মায়ের খাওয়া-দাওয়া, পরিপূর্ণ বিশ্রাম পরিবারকে নিশ্চিত করতে হবে।
মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ডা. সুচিত্রা শাহা বলেন, আমাদের দেশে হোম ডেলিভারি অনেক বেশি। আমরা চাইব হোম ডেলিভারিটাকে রিডিউস করে হাসপাতাল ডেলিভারিটা যেন বাড়ানো যায়।