আলিপুর জেলা আদালত মাসে ১.৩ লাখ রুপি ভরণপোষণ দেয়ার আদেশ দিয়েছিল। তবে শামি সেই আদেশে অসন্তুষ্ট হয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। শুনানির পর হাইকোর্ট শামির খরচের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। যদিও প্রথমে আলিপুর আদালত শামিকে মাসে ৮০ হাজার রুপি দিতে বলেন। পরে জেলা জজ সেটি বাড়িয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার রুপি নির্ধারণ করেন। এবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে তা আরও বাড়ল।
আদালতে হাসিন জাহানের আইনজীবী জানান, তার ক্লায়েন্টের মাসিক আয় মাত্র ১৬ হাজার রুপি, যা ব্যাংকের স্থায়ী আমানত থেকে আসে। এই অর্থে তার ও মেয়ের খরচ চলে না। বিয়ের পর তারা স্বচ্ছল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন।
হাসিনের আইনজীবী যুক্তি দেখান, ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে মোহাম্মদ শামির আর্থিক সামর্থ্য যথেষ্ট। ২০২১ অর্থবছরে শামির আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় প্রায় ৭ কোটি ১৯ লাখ রুপি। মাসে প্রায় ৬০ লাখ রুপি। হাসিন দাবি করেন, তাদের মাসিক খরচ প্রায় ৬ লাখ রুপি।
আরও পড়ুন: এজবাস্টনে সেঞ্চুরি করে কোহলি-হাজারেদের পাশে গিল
এদিকে শামির পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, হাসিন নিজেও একজন সফল মডেল এবং অভিনেত্রী। বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজসহ বিভিন্ন উৎস থেকে তার মাসিক আয় কমপক্ষে ৫ লাখ রুপি। এছাড়া ব্যাংকের স্থায়ী আমানত থেকেও হাসিনের ভালো আয় হয়। তাই শামির পক্ষে এত বড় অঙ্কের খরচ বহন করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অজয় কুমার মুখার্জি বলেন, হাসিনের আর্থিক নিরাপত্তা এবং মেয়ে আয়রার ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য এই অর্থপ্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় হাসিন জাহান বলেন, 'সাত বছর ধরে নিজের ও সন্তানের অধিকারের জন্য লড়ছি। এর পেছনে অনেক কিছু হারিয়েছি। এমনকি মেয়েকে ভালো স্কুলেও দিতে পারিনি। এই রায়ের মাধ্যমে বিচার পেলাম, আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ।'