স্থানীয়দের দাবি, স্যুয়ারেজের কাজ করার সময় সওজের সীমানা দেয়াল ভেঙে গেলে কাজ আটকে দেয় সংস্থাটি। সড়ক নাকি ময়লার ভাগাড় তা বোঝাই দায়। জায়গায় জায়গায় খানাখন্দ আর এর মাঝেই নিত্য দিনের চলাচল হাজারো মানুষের।
বর্ষায় জলাবদ্ধতা আর গ্রীষ্মে ধুলিদূষণ নিয়ে দেড় বছর ধরে দুর্ভোগে আছেন মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দারা।
ড্যাপের নকশা অনুযায়ী, এই সড়কটি ৩০ ফুট হওয়ার কথা। প্রায় এক কিলোমিটারের এই সড়ক যুক্ত হওয়ার কথা দারুসসালামের মূল সড়কে। কিন্তু বিদ্যমান ১২ ফুট সড়কে প্রায় দেড় বছর আগে স্যুয়ারেজের কাজ শুরু করে উত্তর সিটি করপোরেশন। এক পর্যায়ে সড়ক লাগোয়া সড়ক ও জনপথের সীমানা দেয়াল ভেঙে পরে রাস্তার ওপর। স্থানীয়দের দাবি, নিরাপত্তা ইস্যুর দোহাই দিয়ে সিটি করপোরেশনের কাজে বাধা দেয় সওজ। তারপর থেকেই চলাচলের অনুপযোগী এই রাস্তাটি।
কয়েক দফা রাজউক, সওজ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে গিয়েও সুরাহা পাননি এলাকার মানুষ।
কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, কলাম এবং ফাউন্ডেশনবিহীন ওয়াল ভেঙে যাওয়ার কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে আছে। এই ওয়ালের কারণে তারা ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এতে কাজ স্থগিত হয়ে আছে। সিটি করপোরেশনের কাছে আমাদের আবেদন এই সড়কটি অতি দ্রুত নির্মাণ করে যেন আমাদের চরম ভোগান্তি থেকে রেহাই দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চলাচল অযোগ্য ভোলার ১২ সড়ক, পৌরবাসীর দুর্ভোগ
ভুক্তভোগীরা বলেন, অন্ধকারে মানুষ কিছু দেখে না। মানুষ চলাফেরা করতে পারে না। রিকশা পড়ে যায়। গাড়ি বের করতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে এখান থেকে হাসপাতালে নেয়া সমস্যা হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে পানি জমে হাটার উপযোগী থাকে না। ভাড়াটিয়ারা থাকতে চায় না। অনেক ভাড়াটিয়া চলে গেছে।
অবশ্য তিন সংস্থাই বলছে, তারাও চান সড়ক নির্মিত হয়ে জনদুর্ভোগ কমুক। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দাবি, রাস্তার কাজে কোনো বাধা দেয়া হয়নি। তারপরও আটকে আছে রাস্তার কাজ।
ডিএনসিসির প্রকল্প পরিচালক খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, ১২ ফুট রাস্তায় যখন খনন করে পাইপ ঢুকাতে চাই। তখন ওই ওয়ালটা ঝুঁকিতে পড়ে যায়। এই কারণেই আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। কিন্তু যদি আমরা সড়ক ও জনপদ অধিদফতর থেকে আরও অতিরিক্ত জায়গা পাই। ওয়ালটা যদি একটু সরে যায় তাহলে এই প্যাকেজের আওতায় আমরা ৩০ ফুট রাস্তা করতে পারবো।
সওজের পরিচালক (টেকনিক্যাল সার্ভিসেস উইং) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙে গেছে এটা স্বাভাবিক যে একটা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে নানা রকমের। তার মানে এই না যে এখানে রাস্তা করা যাবে না। আমার ধারণা এখানে অন্য কোন কারণ থাকতে পারে। আমাদের যদি পর্যাপ্ত জমি থাকে তাহলে সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা সেই ব্যবস্থা নিতে পারবো।
রাজউকের জোন-৩ এর পরিচালক সালেহ আহম্মেদ জাকারিয়া বলেন, ১৮ ফুট রাস্তা বের করতে হলে দুই পাশ থেকে রাস্তা নিতে হবে। আমাদের দুই পক্ষের একসঙ্গে বসে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজটি করতে হবে।