ইসরাইলের ওয়াইনেট নিউজের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানি একটি মিসাইল মধ্য ইসরাইলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে সরাসরি আঘাত হেনেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, হামলার ফলে ঘটনাস্থলে আগুন ধরে যায়।
ইসরাইলের জরুরি সেবার উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চল থেকে চিকিৎসাকর্মীরা ১২ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
তারা আরও জানিয়েছে, চিকিৎসাকর্মীরা এখনো তেল আবিব এলাকায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টার দিকে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) জানায়, কিছুক্ষণ আগে তারা ইরান থেকে ইসরাইলের উদ্দেশ্যে ছোড়া মিসাইল শনাক্ত করেছে।
তারা জানায়, প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা চালু রয়েছে এবং জনগণকে সুরক্ষিত আশ্রয়স্থলে ঢুকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে বলা হয়।
বিবিসি ওয়ার্ল্ড-এর সংবাদদাতা আকৃতি থাপাড় বলেন, তেল আবিবে আমরা কিছুক্ষণ আগে একটি ঘোষণার শব্দে জেগে উঠি, যেখানে আমাদেরকে বলা হচ্ছিল, যেন সুরক্ষিত আশ্রয়ের কাছাকাছি থাকি, কারণ ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে সাইরেন বেজে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: সংঘাতের ‘শেষ পরিণতি’ হতে পারে ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন: নেতানিয়াহু
তবে তার কিছুক্ষণ পরই সাইরেন বেজে ওঠে। আমরা দ্রুত একটি সুরক্ষিত আশ্রয়ে ছুটে যাই, সেখান থেকে আমরা প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই।
এখন একটানা ভিন্ন ধরণের সাইরেনের শব্দ শোনা যাচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো আঘাতপ্রাপ্ত স্থানের দিকে ছুটে যাচ্ছে। বাতাস ধোঁয়ার গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছে।
আমরা দেখতে পাচ্ছি দূরে আকাশে ধোঁয়ার একটি বিশাল কুণ্ডলী উঠছে।
ইরানের সর্বশেষ পাল্টা হামলার ধাপটি শুরু হয় রোববার দিবাগত রাতের দিকে। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহের নিউজ জানায়, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তেল আবিব ও হাইফার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের জন্য আরও বেদনাদায়ক জবাব অপেক্ষা করছে: ইরানের প্রেসিডেন্ট
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর আগ্রাসনের জবাবে এই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নতুন ঢেউটি চালানো হয়েছে ১৩ জুন থেকে যেসব ইরানির সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন তার প্রতিশোধ হিসেবে।
আইআরজিসি-এর সর্বশেষ এই হামলায় তেল আবিব, হাইফা, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর ও নেভাটিম বিমানঘাঁটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই, দিনের আলোতে আইআরজিসি প্রথমবারের মতো ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
গত তিন দিনে চালানো ইরানের এই বড় ধরনের পাল্টা অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন "ট্রু প্রমিস থ্রি" (True Promise III), যা বহু ইসরাইলি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।