সকালে যেসব জিকিরে হৃদয় প্রশান্ত হয়

৩ সপ্তাহ আগে
জিকির মানে মহান আল্লাহর স্মরণ। জিকির সবচেয়ে বড় ও সর্বোত্তম ইবাদত। কেননা, মহান আল্লাহর স্মরণই হচ্ছে যাবতীয় ইবাদতের প্রধান ও অন্যতম লক্ষ্য।

দিনের শুরুতে মহান আল্লাহর জিকিরে হৃদয় প্রশান্ত হয়। দিনটি ভালো কাটে। সাধারণত এই জিকির ফজরের সময় থেকে সূর্য উঠা পর্যন্ত সময়ে করার কথা এসেছে।

 

সুরা আল-বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত যাকে আয়াতুল কুরসি বলা হয়। যে ব্যক্তি সকালে তা বলবে সে বিকেল হওয়া পর্যন্ত জিন ও শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে, আর যে ব্যক্তি বিকেলে তা বলবে সে সকাল হওয়া পর্যন্ত জিন ও শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে।

 

রসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি সকাল ও বিকেলে ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ (সুরা ইখলাস), ‘সুরা ফালাক’ ও ‘সুরা নাস’ তিনবার করে বলবে, এটাই তার সবকিছুর জন্য যথেষ্ট হবে। (তিরমিজি ৩/১৮২)


أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ (উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি।) 

 

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তার নিকটই তওবা করছি। (প্রতি দিন ১০০ বার) (বুখারি ৬৩০৭, মুসলিম ২৭০২)

 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً (উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি আস্আলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আন্ ওয়া রিয্‌কান ত্বায়্যিবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান।) 

 

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি। এটি ফজর নামাজের সালাম ফিরানোর পর পড়বে। (ইবন মাজাহ ৯২৫)

 

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِير (উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্‌দু ইয়ুহ্‌য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদির)। 

 

অর্থ: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ১০ বার করে পড়বে। (তিরমিজি ৩৪৭৪)

 

ভোর সকালে যে দোয়া করবে

 

اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي، اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ. اللَّهُمَّ  إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالفَقْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ

 

(উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম্‘ঈ আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাসারী। লা ইলা-হা ইল্লা আনতা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল-ফাক্বরি ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্‌তা)। (৩ বার)

 

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শরীরে। হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শ্রবণশক্তিতে। হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। 

 

আরও পড়ুন: ‘হাজি’ বা ‘আলহাজ’ নামের সঙ্গে ব্যবহার কি জায়েজ?


হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কুফরি ও দারিদ্র্য থেকে। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই কবরের আজাব থেকে। আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। (৩ বার) আবু দাউদ ৫০৯২, আহমাদ ২০৪৩০,  বুখারি)

 

حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيهِ تَوَكَّلتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ (উচ্চারণ: হাসবিয়াল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়াহুয়া রব্বুল আরশিল আজিম) (৭ বার)

 

অর্থ: আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি তার উপরই ভরসা করি। আর তিনি মহান আরশের রব্ব।) (আবু দাউদ) 

 

যে ব্যক্তি দোয়াটি সকালবেলা সাতবার এবং বিকেলবেলা সাতবার বলবে তার দুনিয়া ও আখেরাতের সব চিন্তাভাবনার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট হবেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন