ড. ইউনূস বলেন, যদি তারা চায় যে, আওয়ামী লীগ এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিক, তাহলে সেটাই হবে। এ নিয়ে তারা নিজেরা কোনো মতবাদ দেবে না।
সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনামকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। সংস্কারের সময়সীমা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলো কত দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে তার ওপর। কারণ রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে যা বললেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি আমাদের বলে দরকার নেই, যেভাবে আছে সেভাবেই (নির্বাচন) করে দেন, আমরা করে দেবো। এটা প্রস্তুত থাকবে। (সংস্কার) প্রস্তুতি নিতে কতদিন লাগবে সেটা সবার বিবেচনার বিষয়। নির্বাচনের জন্য হয়তো প্রস্তুত কেউ হলোই না। সংস্কারের আগেই সবাই যদি বলে নির্বাচন দিয়ে দেন, দিয়ে দিবো। এটাকে বাধা দেয়ার আমরা কে!’
সংস্কারের সময়সীমা নিয়ে তিনি বলেন, কমিশনগুলোর প্রতিবেদন ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ পাওয়া যেতে পারে এবং আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য সরকার যথেষ্ট সময় পাবে।