সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নেতারা দাবি করেন, জামাল উদ্দীন বিগত বছর সংগঠনে যুক্ত হলেও চলতি বছরের ২২ জুন চারিত্রিক সমস্যার কারণে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, জামাল উদ্দীন সংশ্লিষ্ট নারীকে স্থানীয় মৌলবির মাধ্যমে এক বছরের বেশি সময় আগে বিয়ে করেন। পরে চলতি বছরের ১৪ জুন আদালতে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন হয়। গত এক বছর ধরে স্ত্রীর ভরণ পোষণ না দেয়ায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন জামালের স্ত্রীর এক নানী।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার শিশুর অভিভাবককে চিকিৎসকের গালিগালাজ, ভিডিও ভাইরাল!
এদিকে, গত ২০ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের মামলায় তেঁতুলিয়ার তিরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দীনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় গণমাধ্যমে জামাল উদ্দীনকে জামায়াত কর্মী পরিচয় দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ক্ষোভ প্রকাশ করে দলটি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে সংগঠনের নামে সংবাদ পরিবেশনের আগে প্রকৃত বিষয়টি যাচাই করার আহ্বান জানান তারা।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিস সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ, জেলা প্রচার বিভাগীয় সেক্রেটারি শাহীদ আল ইসলাম, তেঁতুলিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আব্দুল হাকিম, সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, পঞ্চগড় শহর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি নাসির উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।