সংবাদ প্রকাশের পর রায়পুরায় খাদ্যের ডিলারশিপ নিয়োগ স্থগিত

৩ সপ্তাহ আগে
নরসিংদীতে রায়পুরা উপজেলায় খাদ্যবান্ধব ডিলারশিপ নিয়োগের সিদ্ধান্তটি অনিবার্য কারণ দেখিয়ে স্থগিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বুধবার (১১ জুন) বিকেলে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা এক নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘নিয়োগ প্রক্রিয়াটি নিয়ে গণমাধ্যমে অস্বচ্ছতা উল্লেখ করে নিউজ হয়েছে। বেশ কয়েকজন আবেদন প্রার্থী ডিলারশিপ নিয়োগ নিয়ে  অভিযোগ  করেছেন।  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি  অবনতি হতে পারে  বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগটি স্থগিত করা হয়েছে। অধিকতর স্বচ্ছতা বজায় রেখে  অফিস খোলা হলে লটারির মাধ্যমে ডিলারশিপ নিয়োগ  প্রক্রিয়াটি  সম্পন্ন করা  হবে।’


উল্লেখ্য, এর আগে গেলো ‘৫০ থেকে ১ লাখ টাকায় খাদ্যের ডিলার বিক্রি’ শিরোনামে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন: নরসিংদীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে ঘুষের অভিযোগ

সংবাদে বলা হয় ‘রায়পুরা উপজেলার যে সকল নেতারা ৫০ হাজার, ১ লাখ  টাকার বিনিময়ে খাদ্যের ডিলারশিপ লাইসেন্স বিক্রি করেছেন, তাদের মুখোশ শীঘ্রই উন্মোচন করা হবে’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্ট করেছেন এক  যুবদল নেতা। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে রায়পুরা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন সাগর তার ব্যক্তিগত আইডিতে এ পোস্ট করেন।


ওই পোস্টে আশিক আহমেদ নামে একজন লিখেন  ‘একদিন উপজেলায় গেছিলাম আমার কাছে ১লাখ টাকা চাইছে আপনি পরিচিত দেখে মনে হয় ৫০ হাজার চাইছে,৫ জন নেতার এক সিন্ডিকেটে।’


আসাদুজ্জামান আসাদ নামে আরেকজন লিখেন, ‘৫ তারিখের পরে রায়পুরার কিছু সিনিয়র নেতাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় আগেই ভালো আছিলাম।’


এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন সাগর বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নিয়োগ প্রকল্পের সভাপতি রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা। তিনি স্বাধীনভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেননি দলীয় নেতাকর্মীদের চাপের কারণে। উপজেলা বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা যেই লিস্ট করে দিয়েছেন, ওই লিস্টেই ইউএনওর স্বাক্ষর করতে হয়েছে। আমি ডিলার নিয়োগ পেতে চাইলে রায়পুরা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আলফাজ উদ্দিন মিঠু ৫০ হাজার টাকা চেয়েছেন আমার কাছে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ডিলার পাইনি। এ সিন্ডিকেটে কাজ করেছে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খোকনসহ বিএনপির আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতারা। যারা নিয়োগ পেয়েছেন প্রত্যেকের থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছেন এই সিন্ডিকেট। যারা টাকা ছাড়া পেয়েছেন তারা হেভিওয়েট নেতাদের তদবিরে পেয়েছেন।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন