শ্রীলঙ্কায় নতুন পার্লামেন্টের জন্য ভোট, সংখ্যাগরিষ্ঠতা চাইছেন প্রেসিডেন্ট

১ সপ্তাহে আগে
শ্রীলঙ্কা বৃহস্পতিবার নতুন সংসদ নির্বাচন করতে যাচ্ছে, যেটি দেশটির নতুন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েরকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে অসন্তোষের ঢেউয়ের মধ্যে সেপ্টেম্বরে দুর্নীতি বিরোধী প্ল্যাটফর্মে ক্ষমতায় এসেছিলেন। বর্তমানে ২২৫ সদস্যের সংসদে দিসানায়েকের ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার (এনপিপি) জোটের মাত্র তিনটি আসন রয়েছে, যা দুর্নীতি মোকাবিলা এবং শ্রমিক শ্রেণির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনতে তার ক্ষমতাকে সীমিত করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাত সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিসানায়েক যে দৃঢ় সমর্থন পেয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার নির্বাচনে তা সম্ভবত বজায় থাকবে।   একেডি নামে পরিচিত ৫৫ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্টে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা চাইছেন যাতে তিনি তার প্রতিশ্রুত সংস্কারগুলো পাস করাতে পারেন। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার নেতার কাছে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট মন্ত্রিসভা- এতে প্রধানমন্ত্রী হরিন্নি আমারাসুরিয়া এবং দুজন মন্ত্রী রয়েছে। শ্রীলঙ্কাতে শুধু আইনপ্রণেতাদের মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া যায়। দুই বছর আগের ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার সাথে লড়াই করছে দেশটি। যদিও সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার পর অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার কৃতিত্ব দেয়া হয়, তবে তিনি যে কৃচ্ছ্রসাধন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন- যা প্রধানত সরকারি ভর্তুকির অবসান ঘটায় - তার ফলে খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র মূল্য বৃদ্ধি ঘটে যা লাখ লাখ শ্রীলঙ্কানের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।   দিসানায়েক বলেন, ঋণ সুরক্ষিত করার জন্য আরোপিত কৃচ্ছসাধন ব্যবস্থা সহজ করার জন্য তিনি  আইএমএফ বেইলআউট প্যাকেজের শর্তাবলী নিয়ে নতুন করে আলোচনা করবেন। গত দুই দশক ধরে শ্রীলঙ্কায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী দেশটির শক্তিশালী রাজাপাকসে রাজনৈতিক রাজবংশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। অর্থনীতি ভেঙে পড়ার সময় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি দুর্নীতির দায়ে দোষীদের শাস্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়।
সম্পূর্ণ পড়ুন