ডারবানে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে শ্রীলঙ্কার বোর্ডে উঠে ১০৩ রান। তখনই আন্দাজ করা যাচ্ছিল, হারের পথেই সফরকারী দল এবং সেটাও খুব কাছে। হারলেও আগের দিনের অপরাজিত থাকা দিনেশ চান্দিমাল ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা প্রোটিয়া বোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ফল দীর্ঘায়িত করেন। কুশাল মেন্ডিসও সেখানে অবদান রাখেন। ২৮২ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ২৩৩ রানের জয়। রানের হিসাবে যা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের সবচেয়ে বড় জয়।
তৃতীয় দিন ২৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন চান্দিমাল, সিলভা অপরাজিত ছিলেন শূন্য রানে। মার্কো ইয়ানসেনদের বিপরীতে দুর্ভেদ্য দেয়াল তৈরি করেন চান্দিমাল। সিলভা খেলছিলেন কিছুটা মেরে, ৫৯ রান করে কেশভ মহারাজের বলে ত্রিস্টান স্টাবসকে ক্যাচ দেন তিনি। ৯৫ রানের জুটি হয় তাদের মধ্যে। এরপর চান্দিমালের সঙ্গে দাঁড়ান কুশাল মেন্ডিস।
আরও পড়ুন: টানা তিন হারে ছিটকে গেল সাকিবের বাংলা টাইগার্স
চান্দিমাল দলীয় ১৭১ রানে আউট হলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ। ৮৩ রান করে জেরাল্ড কোয়েতজের বলে তাকেই ক্যাচ দেন লঙ্কান ব্যাটার। ১৭৪ বলের ধৈর্য্যশীল ইনিংসে ১২টি চার হাঁকান তিনি।
মেন্ডিস ৪৮, লাহিরু কুমারা ৫ ও আসিথা ফার্নান্দো শূন্য রান করেন। আগের দিন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ২৫, পাথুম নিসাঙ্কা ২৩, কামিন্দু মেন্ডিস ১০, দিমুথ করুনারত্নে ৪ ও প্রবাথ জয়াসুরিয়া ১ রান করেন। ৭৩ রানে ৪ উইকেট নেন ম্যাচসেরা ইয়ানসেন, আগের ইনিংসে ১৩ রানে শিকার করেছিলেন ৭ জনকে। ডারবানে এটা দ্বিতীয় সেরা ম্যাচ ফিগার। ২০১৮ সালে কেশভ মহারাজ ১২৮ রানে নিয়েছিলেন ১২ উইকেট।
আরও পড়ুন: বিদেশি লিগে ইংলিশ ক্রিকেটারদের ওপর আসতে পারে বিধিনিষেধ
প্রথম ইনিংসে টেম্বা বাভুমার ৭০ রানে ১৯১ করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ইনিংসে স্টাবস (১২২) ও বাভুমা (১১৩) সেঞ্চুরি করেন।