আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানি পেসারদের তোপে শুরু থেকেই চাপে ছিল শ্রীলঙ্কা। ৫৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় বিপর্যয়েও পড়ে তারা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খাদের কিনারা থেকে দলকে উদ্ধার করেন কামিন্দু মেন্ডিস। এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজিও। তার ফিফটিতে ভর করেই মূলত লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।
১৩৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৪৫ রান। ১৫ বলে ২৪ রান করা শাহিবজাদাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন থিকসানা।
একই ওভারে ফেরেন ফখর জামানও। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ১৭ রান। এদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন সাইম আইয়ুব। ৩ বলে ২ রান করে হাসারাঙ্গার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন: বিসিবি নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ
অধিনায়ক সালমান আলি আগাও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৬ বলে ৫ রান করে হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক। মাত্র ১২ রানের ব্যবধানেই টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। সেখান থেকে ছোট্ট একটা জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখার চেষ্টা করেন হুসেইন তালাত ও মোহাম্মদ হারিস। ১১ বলে ১৩ রান করে চামিরার বলে বোল্ড হয়ে হারিস ফিরলে ভাঙে তাদের ২৫ রানের জুটি।
এরপর আর কোনো অঘটন ঘটতে দেননি মোহাম্মদ নাওয়াজ ও তালাত। দুজনের ৪১ বলে ৫৮ রানের জুটিতে ১২ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তান। এই জয়ে ফাইনালের পথে টিকে রইলেন শাহিন-সালমানরা। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মহেশ থিকশানা। এছাড়া চামিরা পেয়েছেন ১ উইকেট।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে এদিন ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যায়নি লঙ্কানদের। ৭.৩ ওভারের মধ্যে দলের খাতায় ৫৮ রান যোগ করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তবে কামিন্দুর কল্যাণে শেষ পর্যন্ত বিপর্যয় কাটিয়ে দলের খাতায় লড়াইয়ের পুঁজি তুলে নেয় তারা।
আরও পড়ুন: অ্যাশেজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা ইংল্যান্ডের
এদিন ইনিংস শুরুর দ্বিতীয় বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বল পড়তে ভুল করে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন কুশল মেন্ডিস (০)। এক ওভার পর আবারও শাহিনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। ৭ বলে ৮ রান করে কট বিহাইন্ড হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে ২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন কুশল পেরেরা ও চারিথ আসালাঙ্কা। তবে ১২ বলে ১৫ রান করে কুশল আউট হওয়ার পরই চাপ বাড়তে থাকে লঙ্কান শিবিরে। ১৯ বলে ২০ রান করে দলীয় ৫৮ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক আসালাঙ্কা।
ক্রিজে নেমেই হুসাইন তালাতের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন দাসুন শানাকা (০)। এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে নিয়ে বিপদ কাটানোর চেষ্টা করেন কামিন্দু। তবে ১৩ বলে ১৫ রান করে দলীয় ৮০ রানে বিদায় নেন হাসারাঙ্গা।
পাকিস্তানের হয়ে ২৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহিন। ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট হুসাইন তালাতের আর ৩৭ রান খরচায় ২ উইকেট নেন হারিস রউফ।
]]>