এক বিবৃতিতে কিম মুন-সু বলেন, ‘আমি জনগণের সিদ্ধান্ত সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি। লি জে-মিয়ংকে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন।’
অন্যদিকে নির্বাচনে জয়ী হয়ে দেয়া এক ভাষণে লি জে-মিয়ং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করবেন এবং কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবেন।
এই নির্বাচনে লি জে-মিয়ং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে একটি গণভোটের মতো প্রচারণা চালিয়েছিলেন এবং সেটিই কাজে লেগেছে।
এক সময়ের কিশোর কারখানা শ্রমিক থেকে শুরু করে মানবাধিকার আইনজীবী এবং অবশেষে প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হওয়া এই যাত্রা কেবল ব্যক্তিগত সাফল্যের গল্প নয়, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সাধারণ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশি ৩ তরুণ
জাতীয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের ফলাফল নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে লি জে মিয়ং দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। লি জে মিয়ং ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট লি জু-হোর কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
১৯৬৩ সালে দেশটির উত্তর খিয়ংসাং প্রদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে দারিদ্র্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লি জে-মিয়ং। প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করেই পরিবারের হাল ধরতে শ্রমিক হিসেবে একটি কারখানায় কাজ করতেন লি জে মিয়ং। কাজ করতে গিয়ে বাম হাতে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং।
পরে লি মিডল এবং হাই স্কুলের সমমানের ডিপ্লোমা অর্জন করেন। চুং-আং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৮৬ সালে আইন ওপর ডিগ্রি অর্জন করেন। একজন মানবাধিকার ও শ্রম আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন লি জে মিয়ং।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় নৌবাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত
লি ২০০৫ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং কয়েকটি নির্বাচনে ব্যর্থ হন। তিনি ২০১০ সালে সিওংনামের মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন। লি জে-মিয়ং প্রথমবার ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মুন জে-ইনের কাছে ডেমোক্র্যাটিক মনোনয়নে হেরে যান।
তিনি ২০২২ সাল থেকে গিয়াং বি-এর জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে লি জে-মিয়ং ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গিয়াংগি প্রদেশের গভর্নর এবং ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কোরিয়ার ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।