এদিকে স্ত্রীকে হত্যার পর মাহবুব আলম টুটুল (৩২) নামে ওই ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত রত্না খাতুন(২৫) একই গ্রামের আমোদ মল্লিকের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রত্না খাতুনের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বাহির বোয়ালদহ গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মাহবুব আলম টুটুলের প্রায় ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সাত বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ মশারি বিক্রেতা ছিলেন টুটুল। এতে সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকত। এক বছর আগে প্রথম স্বামীর সংসার ছেড়ে রত্না খাতুন অন্যত্র বিয়ে করেন। সেখানে মাস খানেক সংসার করার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথেও তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর এক সপ্তাহ আগে তিনি প্রথম স্বামী টুটুলের কাছে ফিরে আসেন।
নিহতের বোন মরিয়ম বলেন, রোববার রত্না প্রথম স্বামীর সঙ্গে আবারও বিয়ে করেন। বিয়ের পর শশুর বাড়িতেই ছিলেন টুটুল। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে এখনও রত্নার সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে প্রায় সময়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ লেগে থাকত। দুপুরেও দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী টুটুল ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে ও পেটে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী রত্নাকে। এরপর সে নিজেও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলায় স্ত্রীসহ মিল্টন সমাদ্দার কারাগারে
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, মৃত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার বুকে ও পেটে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। যার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ফুসফুসে আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ওই গৃহবধূর স্বামীও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ওই গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।