শেষ সময়ে পশুর যত্নে বাড়তি মনোযোগ, চোরাচালান বন্ধে কড়া নজরদারির দাবি

১ সপ্তাহে আগে
দু-একদিনের মধ্যে শুরু হবে কোরবানির পশুর হাট। শেষ মুহূর্তে নিজেদের গবাদি পশুর বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন রাজশাহী অঞ্চলের খামারিরা। খাওয়ানো হচ্ছে প্রাকৃতিক খাবার। তবে হাটে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ভারত থেকে পশু চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

সবুজ ঘাসে ভরা বিস্তীর্ণ চারণভূমি। গবাদিপশু খাওয়াতে রাখালরা সারা দিন চষে বেড়ান পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চর ও নদী পাড়ের এসব চারণভূমিতে। একইসঙ্গে খামারগুলোতেও চলছে পশু হৃষ্টপুষ্ট করার কাজ।

 

রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার খামারে এখন ব্যস্ত খামারিরা। দুই-একদিনের মধ্যে কোরবানির পশুর হাট শুরু হওয়ায় শেষ মুহূর্তে নিজেদের গবাদি পশুর বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন তারা। খামারিরা বলেন, পশুকে খাওয়ানো হচ্ছে ঘাস, লতা-পাতাসহ প্রাকৃতিক খাবার। কোনো ধরনের মোটাতাজাকরণ ঔষধ দেয়া হচ্ছে না।

 

তবে হাটে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ভারত থেকে পশু চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের। তারা বলেন, সীমান্ত দিয়ে কোনো পশু না ঢুকতে পারলে খামারি লাভবান হতে পারবে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ নজরদারি রাখতে হবে।

 

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে উদ্বৃত্ত ১৭ লাখ পশু, যাবে বিভিন্ন জেলায়

 

লালন পালন ও পশুর শারীরিক সুস্থতার জন্য খামারিদের সব ধরনের সহায়তার কথা জানায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এখন মহামারির মতো কোনো সমস্যা নেই। তাই রোগাক্রান্ত ছাড়াই পশুগুলোকে হাটে তোলা সম্ভব হবে।

 

রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. অনন্দ কুমার অধিকারী বলেন, রাজশাহীতে প্রাকৃতিক পরিবেশে গরুগুলো লালনপালন করেন খামারিরা। সারাদেশেই এ অঞ্চলের গরুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

 

এদিকে, ভারত থেকে পশু অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থান ও নজরদারি রাখার কথা জানিয়েছে বিজিবি। রাজশাহী বিজিবি ১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হক বলেন, চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে সর্বোচ্চ সংখ্যক জনবল নিয়োজিত রাখা হয়েছে। চোরাচালান কঠোর হাতে দমন করা হবে।

 

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর কোরবানির পশুর হাটের জন্য রাজশাহী বিভাগে ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯টি পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন